ঘুরে আসুন কোল্লাপাথর শহীদ সমাধি থেকে

IMG_20170217_141714বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রাণ গেছে লক্ষ লক্ষ শহীদের। কারও অবদান রয়ে গেছে আর কারও ইতিহাসে রয়ে গেছে অজানা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শহীদদের অবদান চিরজীবন স্মরণের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে শহীদ সমাধি। তেমনি এক নাম কোল্লাপাথর শহীদ সমাধি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থেকে প্রায় ২৫ কিঃমিঃ দক্ষিণে কসবা উপজেলা। কসবা থেকে ১০ কিঃমিঃ দক্ষিণে ভারতের সীমান্তবর্তী বায়েক ইউনিয়নের কোল্লাপাথর গ্রাম। এই গ্রামেই সমাহিত করা হয়েছে সেই বীর শহীদদের। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে সীমান্ত এলাকায় প্রাণ হারান অনেকেই। তাদের লাশ সংগ্রহ করে স্থানীয়দের উদ্যোগে এবং সহায়তায় একই এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মান্নানের মালিকানাধীন টিলায় ৫০ জন বীরকে সমাহিত করা হয়।

PANO_20170217_141401

IMG_20170217_143757

এই সমাধিস্থলে রয়েছে নায়েক সুবেদার মইনুল ইসলামের কবর। তার নামেই ঢাকা সেনানিবাস এলাকার অতি পরিচিত ‘মইনুল রোড’ নামকরণ করা হয়েছে। এ সমাধিতে ৫০ জনের  মধ্যে ৪৭ জনের পরিচয় মিলেছে। অন্য তিনজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।এদের মধ্যে রাষ্ট্রীয় খেতাবপ্রাপ্ত বীর উত্তম ৩ জন, বীর বিক্রম ১ জন, বীর প্রতীক ২ জন রয়েছেন।

কোল্লাপাথরের টিলায় প্রতিটি কবরই ইট দিয়ে বাঁধানো এবং প্রতিটিরই নামফলক রয়েছে। প্রতিটি কবরই সারিবদ্ধভাবে সাজানো। কোল্লাপাথরের মূল আকর্ষণ হলো এই সমাধি, আশেপাশের পাহাড় ঘেরা সীমান্ত এলাকা এবং উচুনিচু পাহাড়ি রাস্তা। আছে সুন্দর ঘাট বাঁধানো পুকুর এবং তার সাথেই গেস্টহাউজ। গেস্ট হাউজের ভেতরেই আছে বিশ্রাম নেোয়ার সুব্যবস্থা। তাছাড়া প্রবেশদ্বারের সাথেই আছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সম্বলিত ছবি।

IMG_20170217_144837

প্রতিদিন দেশের বিভিন্নপ্রান্ত থেকে লোকজন আসে এই এলাকায় ঘুরতে। গেস্টহাউজের পাশেই সাইনবোর্ড দেখা যায় প্রস্তাবিত শেখ রাসেল পার্কের। পাহাড় চড়ে ঘুরে আসা যায় বাংলাদেশের শেষ সীমানার পিলার পর্যন্ত। পিলারের কাছে দাঁড়ালেই দেখা যায় ওপারের বিএসএফের চেকপোস্ট এবং সীমানা ঘেরা বেড়া। এই পাহাড়েই বাস করেন ৭০ বছর বয়সী নুরু মিয়া। তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায় মুক্তিযুদ্ধের সময়ের নানা ঘটনা।

/এফএএন/