কাবাব ঘরের নেহারি!

প্রায় ২০ বছরের পুরনো মোহাম্মদপুর জাকির হোসেন রোডের মসজিদ কর্নার কাবাব ঘর। কাবাব ঘরের সামনে নিবিষ্ট মনে কাজ করছেন প্রতিষ্ঠাতা মানজার আলম। জানা গেল, একসময় পেশায় তিনি ছিলেন ঘড়ির মেরামতকারী। দীর্ঘ ৩০ বছর পুরান ঢাকায় ঘড়ি মেরামতের কাজ করার পর ১৯৮৬ সালের দিকে ঘড়ির চাহিদা কমে যায় হঠাৎই। তারপর ছোটবেলায় মা-চাচিদের সঙ্গে খাবার তৈরির অভিজ্ঞতাকে সঙ্গে নিয়ে মোহাম্মদপুরের নূরজাহান রোডে খাবারের ব্যবসা শুরু করেন তিনি। এরপর আর তাকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।

মসজিদ কর্নার কাবাব ঘর

‘শুরুতে দোকানটি মূল সড়কের উপর ছিল না। চাহিদা তৈরি হলে ১৯৯২ সালে পুরাতন দোকান ঘরটি পরিবর্তন করে বর্তমান দোকানে চলে আসি’- জানালেন মানজার আলম। খাবার কী কী পাওয়া যায় জানতে চাইলে মানজার আলম জানান, বিফ শিক কাবাব, বিফ গুর্দা কাবাব, বিফ খিরি কাবাব, চিকেন রেশমি কাবাব, চিকেন তান্দুরি, চিকেন টিক্কা, বটি কাবাব, বিফচাপ, মুরগির ঝাল ফ্রাই, মাটন লেগ রোস্ট, মাটন রেজালা, মাটন কালিয়া, বিফ ঝুরা, নেহারি এবং পায়া। সঙ্গে রয়েছে পরোটা, লুচি এবং বসনিয়ান নান। সব খাবারের চাহিদাই রয়েছে দোকানে। তবু নেহারি মানুষ একটু বেশিই পছন্দ করেন। সঙ্গে গরুর ঝুরা ও খাসির লেগ রোস্ট।
বাংলা ট্রিবিউনের পাঠকদের জন্য মানজার আলম দিয়ে দিলেন নেহারির রেসিপি-

নেহারি উপকরণ

গরুর পা দুইটি, পেঁয়াজ ১০০ গ্রাম, সরিষার তেল ১০০ গ্রাম, দারুচিনি ৪টি, ছোট এলাচ ৮টি, লবঙ্গ ৮টি। রসুন, লবণ, মরিচ ও লবণ পরিমাণ মতো। এছাড়া জৈয়ত্রি,জায়ফল, লেবু, কাঁচামরিচ, আদা ও ধনেপাতাও দিতে হবে পরিমাণ মত।

যেভাবে তৈরি করবেন

গরুর পা দুটি চার টুকরা করে ভালো করে ধুয়ে নিন। পাত্রে এক লিটার পানি দিয়ে পায়ের টুকরাগুলো ছেড়ে দিব। এবার ৩০০ গ্রাম পেঁয়াজ, সরিষার তেল, দারুচিনি, এলাচ ও লবঙ্গ  দিয়ে দিয়ে ঢাকনা ঢেকে দিন। গরুর পা বা নেহারি ৭৫ ভাগ সেদ্ধ হলে বাকি ২০০ গ্রাম পেঁয়াজের বেরেস্তা করে, আদা, রসুন ও মরিচ আলাদা ভাবে কষিয়ে নিন। এবার সব মসলা নেহারিতে ঢেলে দিয়ে বাকি ২৫ ভাগ সেদ্ধ করে জৈয়ত্রী ও জায়ফলের গুঁড়া নেহারিতে ঢেলে দিলেই হয়ে গেল নেহারি! এবার লেবু, ধনে পাতা, মরিচ ও আদা কুচি দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

/এনএ/