আবার ডায়বেটিক ডায়েট চার্ট

bowl-vegetables-1280_0দেখতে দেখতে ১৮টি রোজা চলে গেল। আর মাত্র ১২টি অথবা ১১টি রোজা রয়েছে। কিন্তু ইফতার, শপিং এবং ঈদের আনন্দে যদি ডায়বেটিস রোগীরা নিয়ম মানার বিষয়টি ভুলে গিয়ে থাকেন, তাদের জন্য আবার ডায়বেটিস ডায়েট চার্ট।

রমজান মাসের ডায়বেটিস নির্দেশনা:

১. ডায়বেটিক ব্যক্তি রোজা পালন করতে পারেন।

২. ঔষধের নিয়ম ডাক্তার এর কাছ থেকে রোজা শুরুর আগেই জেনে নিয়েছেন নিশ্চয়।

৩. খাবারের পরিমাণ অন্য খাবারের মতই থাকবে এবং তিনবার খেতে হবে।

৪. হাইপো লক্ষণ দেখা দিলে খাবার খেতে হবে।

৫. ব্যায়াম করার দরকার নেই বিকালে, বিশ্রামে থাকা ভাল।

৬. কোন অসুবিধা দেখা দিলে ডাক্তার এর পরামর্শ নেয়া জরুরি।

খাবার চার্ট আরও একবার...

(ক) ইফতার: যেকোনও একটি পানীয় বা শরবত রাখা জরুরি।

খ) আনারস, তরমুজ, জাম্বুরা, কমলা অথবা রসালো ফলের অর্ধেক গ্লাস সাথে অর্ধেক গ্লাস পানি ও ১ চামচ লেবুর রস মেশাতে হবে।

গ) মিষ্টি স্বাদের জন্য স্যাকারিন অথবা এসপারটেম মেশানো যাবে।

ঘ) লাচ্ছি (টক দই দিয়ে বানানো), মিল্ক শেক(পাঁকা কলা, পেপে, আম ও দুধ দিয়ে বানানো)।

ঙ) কচি ডাবের পানি।

ইফতারের ফল:

ক) খেজুর খাওয়া যাবে ২-৩ টা।

খ) মিষ্টি ফল যেকোনো একটি। যেমন: ১টি কলা/ আপেল/ কমলা লেবু/ মোসাম্বি।

অথবা লিচু ৬টি, আতা ফল ১টি, কাঠাল ৩ কোয়া/ পাকা পেঁপে ৬০ গ্রাম পরিমান/ বেদানা অর্ধেক/ পাকা বেল ১/২ বা আনারস ৬০ গ্রাম/ তাল ১ কাপ।

গ) শশা, খিরা, গাজর, কাঁচা পেয়ারা ইচ্ছামত খাওয়া যেতে পারে।

ইফতারের অন্যান্য খাবার:

যেকোনো একটি-

১. বুট ভুনা ১/২  কাপ - ১ কাপ, মুড়ি ২-৩ কাপ, পিয়াজু ২-৩ টা, বেগুনি ২-৩ টা, হালিম।

                 অথবা

২.   চিড়া (ভিজানো) - ২ কাপ, কলা -১টা, দই-১কাপ

                  অথবা

৩.   পরোটা/পুরি- মাংস- ডাল/হালিম.

                  অথবা

৪.   ভাত- মাছ/মাংস/ডাল/সব্জি

*খাবারের পরিমান অন্য সময়ের রাতের খাবারের মতো হবে।

রাতের খাবার: (৯টা-১-টা)

যেকোনও একটি

১. ভাত মাছ/মাংস- সবজি- ডাল/দুধ।

                       অথবা

২. আটার রুটি- মাছ/মাংস- সব্জী- ডাল/দুধ।

 *খাবারের পরিমান অন্য সময়ের সকালের নাস্তার মতো হবে।

সেহরিতে খাবার:

যেকোনও একটি-

১. ভাত- মাছ/মাংস-ডাল/দুধ- সবজি/ফল

                        অথবা

২. আটার রুটি-পাউরুটি-মাছ/মাংস- ডাল/দুধ, সবজি/ফল

*খাবারের পরিমান অন্য সময়ের দুপুরের খাবারের মতো।

 ডায়বেটিক রোগীর খাবারের সময় যা করা উচিৎ:

ক)  তিন বেলা (ইফতার, রাতের খাবার, সেহরি) খাওয়া উচিৎ

খ)  সেহরির শেষ সময়ের অল্প সময় আগে খাওয়া উচিৎ

গ)  পরিপূর্ণ খাবার খেতে হবে।

যা উচিৎ নয়:

অল্প পরিমাণ খাবার খেয়ে রোজা রাখা ডায়বেটিক ব্যক্তির উচিৎ নয়।

লেখক: পরিচালক, ব্যাংকক হসপিটাল বাংলাদেশ অফিস

/এফএএন/