বৃষ্টি ঠেলে পর্যটকদের ঢল করমজলে

Mongla p 03রোমঞ্চকর ভয় আর প্রকৃতির সৌন্দর্যের হাতছানি। বৃষ্টি উপেক্ষা করে এমন পরিবেশকে উপভোগ করতে ঈদ আনন্দে দক্ষিণের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সুন্দরবনে পর্যটকদের ঢল নেমেছে।

বুধবার ২৮ জুন দূর-দুরান্ত থেকে ছুটে আসা ভ্রমন পিপাসু এসব পর্যটকদের পদচারণায় সুন্দরবনের পর্যটন স্পট করমজলে আনন্দময় পরিবেশ বিরাজ করছে। প্রতিবছরের মতো সুন্দরবনের সৌন্দর্য দেখতে ঈদের ছুটিতে এবারও ভিড় করেন নানা বয়সের লাখো পর্যটক। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন দেখতেই এত আকর্ষণ বলে বনভিাগ জানিয়েছে।

বনবিভাগের পর্যটন স্পট করমজলের স্টেশন কর্মকর্তা আজাদ কবির বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রা হরিনসহ নানা স্থল ও জলজ প্রাণির আশ্রয়স্থল এই বন। প্রকৃতির নিজ হাতে গড়া এই বনের অপরুপ সৌন্দর্য মুগ্ধ করে যে কাউকে।

তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে সুন্দরবনের করমজল, কটকা, কচিখালি এবং হারবাড়িয়াসহ ১০ টি স্পটে পর্যটকদের আনা গোনা বেড়েছে। সকাল থেকে তারা বনরক্ষীদের সহযোগিতায় এসব এলাকার সৌন্দর্য উপভোগ করছেন।

যশোর থেকে আসা পর্যটক ফরহাদ পিন্টু জানান, সুন্দরবনের এই প্রথম বেড়াতে আসা তার। বনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে তিনি অনেক মুগ্ধ হয়েছেন। সুযোগ পেলে আবারও আসবেন এই বনে।Mongla p 01

তার মতো অনেক পর্যটকদের ঢল নামে সুন্দরবনের পর্যটন স্পট করমজলে। তারাও অনেক সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন। তবে জানান, সুন্দরবনের অনেক এলাকায় এখনো পর্যটন কেন্দ্র গড়ে ওঠেনি। অথচ ত্রিকোনা আইল্যান্ড নীলকোমল, টিয়ারচর, মান্দারবাড়িয়া ও পত্নিরচর এলাকাগুলো আরো দর্শনীয় স্থান হতে পারে।

নৌ পুলিশের এ এসপি হালিম খান বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ঈদ উপলক্ষে সুন্দরবনে পর্যটকদের ব্যপক চাপ রয়েছে। নিরাপত্তা দিতে আমাদের পুলিশ বিভিন্ন দর্শনীয় স্পটে টহলে রয়েছে।

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা (ডিএফও) সাইদুল ইসলাম বাংলা ট্রিউিনকে জানান, ঈদ উপলক্ষে সুন্দরবনের পর্যটন স্পটগুলোতে তুলনামুলক ঢল নামে বেশি। এবার রাজনৈতিক অস্থিরতা না থাকায় পর্যটকদের অবস্থান একটু বেশি। সে হিসেবে অন্যদিনের তুলনায় পর্যটন স্পট করমজল, হারবাড়িয়া ও কটকা-কচিখালিতে রাজস্ব আদায় দ্বিগুণ হচ্ছে।

ongla p 02

এমনিতেই সুন্দরবনে প্রতি বছর গড়ে এক লাখ পর্যটক ভ্রমন করে বলে তথ্য দেন এই বনকর্মকর্তা।

/এফএএন/