টিনের কৌটায় রসগোল্লা!

Photo_3_Mithai to introduce canned sweetsজনপ্রিয় মিষ্টির ব্র্যান্ড ‘মিঠাই’ বাজারে আনছে টিনজাত মিষ্টি। দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করে খাওয়ার উপযোগী এ মিষ্টি ক্রেতারা ৬ মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করে খেতে পারবেন। পাশাপাশি ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের আরও ১০ ধরনের মিষ্টিও বাজারে আনছে জনপ্রিয় এই মিষ্টির চেইন শপ।

বঙ্গ বেকারস লিমিটেড এর চিফ অপারেটিং অফিসার অনিমেষ সাহা জানান, বর্তমানে ৩৩ ধরনের মিষ্টি বিক্রি করছে মিঠাই। এরমধ্যে রয়েছে চমচম, কালোজাম, লালমোহন, রসগোল্লা, কাচাগোল্লা, কাচা সন্দেশ, ক্ষীর টোস্ট, মালাইকারি, লাড্ডু, হালুয়া, বরফি, আমৃত্তিসহ নানান স্বাদের সব মিষ্টি। কিছুদিনের মধ্যেই যোগ হবে জাফরান ভোগ, মিল্ক পার্সিয়া, বাকলাভা ও তার্কিশ ডিলাইটসহ আরও কয়েক ধরনের মিষ্টি।

তিনি আরও জানান, জুলাইয়ের শেষ নাগাদ রসগোল্লা ও গুলাব জামুন নামে দুই প্রকারের টিনজাত মিষ্টি মিঠাই শোরুম থেকে কিনতে পারবেন ক্রেতারা। ক্রেতারা রেফ্রিজারেটরে কিংবা ২৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ৬ মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত এই মিষ্টি সংরক্ষণ করতে পারবেন। আগামীতে ডায়াবেটিক রোগীদের খাওয়ার উপযোগী মিষ্টি আনবে মিঠাই।

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল জানান, ভোক্তারা যেন খুব সহজেই কম খরচে মানসম্মত মিষ্টি কিনতে পারেন সেজন্যে রাজধানীসহ সারাদেশে মিঠাই এর শোরুম চালু করা হচ্ছে। বর্তমানে রাজধানীতে ২০টি শোরুম রয়েছে এবং ২০১৮ সাল নাগাদ সেটি সারাদেশে শতাধিক করার পরিকল্পনা রয়েছে। বর্তমানে নির্মিত শোরুমগুলো আরও প্রশস্ত করা হচ্ছে যাতে ক্রেতারা এখানে বসেই বিভিন্ন প্রকার মিষ্টির স্বাদ নিতে পারেন। এছাড়া হোম ডেলিভারি ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মিষ্টি সরবরাহের ব্যবস্থাও রয়েছে।

কামরুজ্জামান আরও জানান, শিগগিরই মিষ্টি রফতানি করা হবে এবং প্রাথমিকভাবে কানাডাতে টিনজাত মিষ্টি রফতানির পরিকল্পনা রয়েছে।

সুলভমূল্যে স্বাস্থ্যসম্মত মিষ্টি ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিতে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ‘স্বাদে ঐতিহ্য’ স্লোগান নিয়ে যাত্রা শুরু করে প্রাণ গ্রুপের মিষ্টির চেইন শপ মিঠাই।

/এফএএন/