ঠাণ্ডা না গরম পানি!

Warm vs cold water 1সকাল বেলা খালি পেটে পানি পানে বেশ কিছু উপকারিতা আছে, তেমনটাই বলেন ডাক্তাররা। সাম্প্রতিক কয়েকটি  গবেষণায় দেখা গেছে সকালে খালি পেটে গরম পানি পান করলে শরীরের বেশ কিছু উপকারিতা পাওয়া যায়। দিনের শুরুতে কুসুম গরম পানি পান করলে আপনার কার্যক্ষমতা বেড়ে যাবে। আছে আরও কিছু উপকারিতা। উল্টোদিকে, ফ্রিজের ঠাণ্ডা পানি শরীরের কিছু ক্ষতিও করে। প্রাচীন শাস্ত্র এমনকি আধুনিক চিকিৎসকরা গরম পানিকেই শরীরের জন্য বেশি উপকারী বলে জানিয়েছেন।

গরম পানির উপকারিতা-

হজমে সহায়তা করে: আয়ুর্বেদ ও প্রাচীন চীনের শাস্ত্রমতে  সকালে খালি পেটে এক গ্লাস কুসুম গরম পানি পান করলে হজমের কাজটা খুব ভালোভাবে শুরু হয়। দিনের বাকী সময় খাবার সহজে হজম হতে সহায়তা করে এই অভ্যাস। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও সকালে খালি পেটে কুসুম গরম পানি পান জরুরি।

 শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে: গরম পানি পান করলে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ সহজে বের হয়ে যায়। তাই শরীরকে সতেজ রাখতে প্রতিদিন কুসুম গরম পানির সাথে লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে আরো উপকার পাবেন। গরম পানি শ্বাসতন্ত্রে থাকা শ্লেস্মা দূর করে সহজে।

ব্যথা কমায়: শরীরের ব্যথা দূর করতে গরম পানি বেশ উপকারী। যাদের মাংসপেশী বা জয়েন্টে ব্যথা আছে, তারা গরম পানি পান করা শুরু করুন এখন থেকে। কুসুম গরম  পানি গলার টনসিলের ব্যথা দূর করে। সাময়িকভাবে টনসিল বা গলা ব্যথা দূর করতে গরম পানি খুব উপকারী।

রক্তপ্রবাহ ভালো রাখে: কুসুম গরম পানি শরীরে রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক রাখে। পরীক্ষায় দেখা গেছে উচ্চ তাপমাত্রায় রক্ত কোষগুলো উল্লেখযোগ্য হারে প্রবাহিত হয় শরীরে।

ওজন কমাতে সহায়তা করে: শরীরের ওজন কমাতে নিয়মিত কুসুম গরম পানি পান করা বেশ উপকারী। কারণ গরম পানি ক্ষুধা কমায়।

গরমে ও ব্যায়ামের পর  ঠাণ্ডা পানি পানে কিছুটা উপকার পাওয়া গেলেও ঠান্ডা পানির  বেশ কিছু অপকারিতা আছে। সেগুলো হলো-

 * ঠাণ্ডা পানি শরীরের রক্তনালীগুলোকে সংকুচিত করে ফেলে। এতে করে পানি পানের আগ্রহ কমে যায়।

* হজমে ব্যাঘাত ঘটায় ঠাণ্ডা পানি। খাদ্য পরিপাকে বড় বাধা তৈরি করে। এর কারণ হলো ঠাণ্ডা পানি রক্তে চর্বি জমিয়ে ফেলে।

* ঠাণ্ডা পানি শ্বাসতন্ত্রে অতিরিক্ত শ্লেষ্মা তৈরি করে। এতে করে শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা এমনকি গলার ইনফেকশনও হতে পারে।

সূত্র: বোল্ড স্কাই।

/এফএএন/