গুণে ভরপুর পেয়ারা

Guava2কচকচে কাঁচা পেয়ারা কিংবা পাকা টুসটুসে পেয়ারার নাম শুনলেই মন ভরে ওঠে। কাজী নজরুল ইসলামের ছড়ার কথাও মনে পড়ে যায়। কাঠবিড়ালীর কাছে পেয়ারা চাইতে ইচ্ছা করে। ফল হিসেবে সবার পছন্দের শীর্ষেই রয়েছে এই পেয়ারা। একটা সময় শুধু বর্ষাকালে পাওয়া গেলেও এখন সারা বছর ধরেই পাওয়া যায় পেয়ারা। পুষ্টিবিদরা বলছেন, প্রতিদিনকার খাদ্য তালিকায় একটি পেয়ারা থাকলেই আপনি থাকবেন সুস্থ।

পেয়ারায় থাকা ভিটামিন সি, লাইকোপেন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত শরীরের প্রতিটি অংশকে সুস্থ এবং সুন্দর রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

পেয়ারায় রয়েছে প্রচুর মাত্রার ভিটামিন সি, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে এতটা মজবুত করে তোলে যে ছোট-বড় কোনও ধরনের রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। এখানেই শেষ নয়, নানা ধরনের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতেও ভিটামিন সি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই কারণেই তো একেবারে ছোট বেলা থেকে বাচ্চাদের পেয়ারা খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।

ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাকে দূরে রাখে। পেয়ারায় থাকা লাইকোপেন, কুয়েরসেটিন, ভিটামিন সি এবং পলিফেনল শরীরের অন্দরে জমতে থাকা ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বার করে দেয়।

ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। পেয়ারায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এই ফলটি যেহেতু গ্লাইকেমিক ইনডেক্সে একেবারে নিচের দিকে আসে, তাই পেয়েরা খেলে ব্লাড সুগার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে না।

সূত্র: বোল্ডস্কাই।