রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে সকাল থেকে শুরু হয়েছে সপ্তমী পূজার আনুষ্ঠানিকতা। সকালে সাড়ে ৮টার দিকে পূজারিরা পূজা শুরু করেন। চণ্ডী ও মন্ত্রপাঠের মাধ্যমে পূজা অর্চনা করা হচ্ছে। এছাড়াও দিনব্যাপী চণ্ডী ও মন্ত্রপাঠের মাধ্যমে পূজা, দেবী-দর্শন, দেবীর পায়ে ভক্তদের অঞ্জলি প্রদান, প্রসাদ গ্রহণের মাধ্যমে পূজার আনুষ্ঠানিকতা চলবে বলে জানান সর্বজনীন পূজা আয়োজকরা।
সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে ভক্তদের সংখ্যা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সঙ্গে তা বাড়ছে। ঢাকেশ্বরী মন্দির, রমনা কালীমন্দির, জগন্নাথ হলসহ প্রায় সকল পূজামণ্ডপ সেজেছে নানা রঙে। ঝলমলে আলোকসজ্জার পাশাপাশি দেবীকে সাজানো হয়েছে নতুন আঙ্গিকে।
এবারের পূজার সার্বিক ব্যবস্থা এবং আয়োজন নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শ্যামল রায়। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ‘পূজার সার্বিক আয়োজন সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে লোকবল রয়েছে। এর পাশাপাশি আমাদের স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে সার্বক্ষণিক’।
সারাদেশে এবার ৩০ হাজার ৭৭টি মণ্ডপে পূজা রয়েছে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ২৯ হাজার ৩৯৫ টি। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তায় পুলিশ, আনসার, বিজিবি, র্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছে। প্রতিটি পূজামণ্ডপে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বেষ্টনি নির্মাণ, পূজা মণ্ডপে নারী ও পুরুষের আসা এবং বের হেওয়ার আলাদা পথ, পরিচয় কার্ডধারী নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে ২৪ ঘণ্টা তদারকি/পাহারার ব্যবস্থা করার করা হয়েছে। ঢাকেশ্বরী মন্দির মেলাঙ্গনে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।
এছাড়াও কোনোরকম আতশবাজি ও পটকা ফোটানো থেকে বিরতি থাকা এবং ৩০ সেপ্টেম্বর রাত ১০ টার মধ্যে প্রতিমা বিসর্জন সম্পন্ন এবং ভক্তিমূলক সংগীত ব্যতীত অন্য সংগীত বাজানো থেকে বিরত থাকার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।