শিশুর সঠিক বিকাশ নিয়ে কর্মশালা

শিশুদের উন্নত ভবিষ্যৎ গড়তে প্রয়োজন পরিবারের সমর্থন। তাই অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে রেইনবো ভ্যালি আর্লি চাইল্ডহুড ডেভলপমেন্ট সেন্টারে আয়োজন করা হয়েছিল এক কর্মশালার।

23262183_10155710358960505_1988340711_o
শিশুর বিকাশে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন অভিভাবকরা। কিন্তু কর্মব্যস্ত জীবনে অনেক শিশুই পিতামাতার সঠিক সমর্থন পাচ্ছে না। আর্লি চাইল্ডহুড ডেভলপমেন্ট বিশেষজ্ঞ জিনিয়া জেসমিন করিম বলেন, এক বছর পর থেকেই শিশুর মানসিক বিকাশের জন্য তার অভিভাবকদের সচেতন হওয়া উচিত।
অভিভাবকদের সঙ্গে এই মতবিনিময় সভায় উঠে আসে অনেক সমস্যা। একজন শিশু তার জন্মের পর থেকেই আশপাশের পরিবেশ থেকে শেখে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন বাবা এবং মা। শিশুকে শিক্ষা দেওয়ার মানে তাকে সমকালীন সমাজে বসবাসের জন্য উপযুক্ত করা। এই শিক্ষায় স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ। চাইলে শিক্ষার শুরুটা আগেই করা যায়। আনুষ্ঠানিকভাবে স্কুলে ভর্তির আগে ছেলেমেয়েদের পড়ার প্রস্তুতি হিসেবে শেখানো শুরু করা যায়। আর্লি চাইল্ডহুড ডেভলপমেন্ট নিয়ে কাজ করার মতো প্রতিষ্ঠান অনেক আছে। প্রাক পর্যায়ে কিংবা ০ থেকে ৮ বছর বয়সের শিশুদের জন্য কেবলমাত্র খেলাকেই শিক্ষণের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা কোনও প্রতিষ্ঠান বা সেন্টারের ধারণা এখনও আমাদের দেশে তেমন জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি।
শিশুদের জন্য খেলায় খেলায় শেখাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে রেইনবো ভ্যালি সেন্টার ফর আর্লি চাইল্ডহুড ডেভলপমেন্ট। ‘খেলাধুলা একটি প্রেরণা। খেলায় বাচ্চাদের থাকতে হবে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। ছোট বয়সে অনেকেই একা একা গাড়ি নিয়ে খেলতে পছন্দ করে। অনেকেই আবার চাইবে দল নিয়ে খেলতে। কেউবা ট্যাব কিংবা কম্পিউটার খুলে বসে থাকবে। বলছি না কম্পিউটারে খেলায় বিকাশ হয় না। সেখানে বুদ্ধির বিকাশটাই বেশি। কিন্তু বিকাশের অনেক ডালপালা আছে। শিশুদের সামাজিক, আবেগিক আর শারীরিকভাবে বিকাশের দিক নিয়ে সবার ভাবতে হয়’ বলেন জিনিয়া।
আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট নিয়ে করছে রেইনবো ভ্যালি। ইসিডি ডেভলপমেন্ট বিশেষজ্ঞ জিনিয়া জেসমিন করিম নিজেই এর দেখভাল করছেন। কোনও ফান্ডিং ছাড়াই নিজস্ব উদ্যোগে প্রতিষ্ঠানটি চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।