পেটে মেদ জমছে?

সবচেয়ে ক্ষতিকারক মেদ বলা হয় পেটের মেদকে। এটি যেমন ফিটনেস নষ্ট করে, তেমনি স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়ায়। অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার কারণে পেটে মেদ জমে। আবার না খেয়ে থাকলেও মেদ বাড়ে! মেদহীন পেটের জন্য সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত ঘুম জরুরি। জেনে নিন কীভাবে দূরে থাকবেন অস্বাস্থ্যকর এই মেদ থেকে।   

পেটে মেদ জমছে?

  • পেটে মেদ বাড়ার অন্যতম কারণ চিনি। কোল্ড ড্রিঙ্ক, বাজার থেকে কেনা ফলের রসের পাশাপাশি বিভিন্ন চিনিযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে অস্বাস্থ্যকর চিনি মেদ হয়ে জমতে থাকে পেটে। লিভারের জন্যও অতিরিক্ত চিনি ক্ষতিকর। সুস্থ থাকতে তাই চিনি খান পরিমিত।
  • প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সিযুক্ত খাবার খান। ভিটামিন সি পেটের মেদ দূর করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি মানসিক অবসাদ দূর করতেও এই ভিটামিনের জুড়ি নেই।
  • রাত জাগলেও পেটে জমে মেদ। রাত জাগলে এক ধরনের হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায় যা মেদ বাড়ার জন্য দায়ী। পেটের মেদ থেকে দূরে থাকতে প্রতিদিন রাতে তাই ৭ থেকে ৮ ঘণ্টার ঘুম জরুরি।  
  • প্রতিদিন সকালের নাস্তায় ওটমিল খান। ফাইবারজাতীয় এই খাবারটি খেতে পারেন ফল দিয়ে। পেটে মেদ জমতে দেবে না এটি।  
  • নিয়ম মেনে না খেলে পেটে মেদ জমতে পারে। প্রতিদিন সকালে ভারি নাস্তা করুন। কোনওভাবেই নাস্তা বাদ দেবেন না। দুপুরে খান সময় মতো। রাতে একদম পেট ভরে না খাওয়াই ভালো। ঘুমানোর অন্তত দেড় থেকে দুই ঘণ্টা আগে খাবার খান।
  • সারাদিন প্রচুর পরিমাণে সালাদ খেতে পারেন। এটি যেমন পেট ভরতে সাহায্য করবে, তেমনি পুষ্টির যোগানও দেবে শরীরে। ফলে বাড়তি মেদ জমবে না পেটে।
  • অস্বাস্থ্যকর ফাস্টফুড খাওয়া পেটে মেদ জমার অন্যতম প্রধান কারণ। তাই ফাস্টফুড খাওয়ার অভ্যাস থাকলে সেটি বাদ দিন আজই।
  • তাজা শাকসবজি ও ফল খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই।
  • পেটের মেদ কমানোর জন্য না খেয়ে থাকার মতো ভুল করবেন না একেবারেই। এটি উল্টো মেদ বাড়াবে। নির্দিষ্ট সময় পর পর খাবার খান।
  • প্রচুর পরিমাণে প্রোটিনজাতীয় খাবার খান প্রতিদিন। ডিম, দুধ রাখুন দৈনন্দিন ডায়েট চার্টে। এগুলো অতিরিক্ত মেদ জমতে দেবে না শরীরে, আবার পুষ্টির চাহিদাও মেটাবে।

তথ্য: দ্য ইন্ডিয়ান স্পট