অনবদ্য বৃটিশ কারি অ্যাওয়ার্ডস ২০১৭

অসাধারণ সব পারফরম্যান্স, মন মাতানো বিনোদন, বিজয়ীদের উচ্ছাস আর কারি শিল্পের সংকট নিরসনে জোরালো দাবি। সব মিলিয়ে বৃটিশ কারি অ্যাওয়ার্ডস আরও একবার জানান দিলো কারি শিল্পের অন্যসব আয়োজনের চেয়ে এটি কেনও আলাদা। ব্রিটেনে প্রতি বছর বাছাই কিছু কারি রেস্টুরেন্টকে দেওয়া হয় এই অ্যাওয়ার্ড। তারি ধারাবাহিকতায় এ বছরও হয়ে গেল এই আয়োজন। 

IMG_1065a_preview
প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে সশরীরে আসতে পারেননি। তবে চমক হিসেবে হাজির হয়েছেন ভিডিও বার্তায়।  তিনি বলেছেন, ‘বৃটেনে কারি রেস্টুরেন্টগুলোর জনপ্রিয়তা এখন আর বিস্মিত হওয়ার মতো কোনও ঘটনা নয়। আজ যারা বিজয়ী তারা নি:সন্দেহে বৃটেনের সেরা।’
থেরেসা মে  বিজয়ী রেস্টুরেন্টের উদ্যোক্তাদের অভিনন্দন জানান।  বৃটিশ কারি অ্যাওয়ার্ডসের প্রতিষ্ঠাতা এনাম আলী এমবিই তার  বক্তব্যে বলেন, ‌‘বাংলাদেশ উন্নয়নের জন্য একটি অসাধারণ জায়গা।’ তিনি তার আমন্ত্রণে বাংলাদেশ সফরকালে  সাবেক বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের বাংলাদেশ সম্পর্কে উজ্জ্বল ধারণার কথা আরও একবার মনে করিয়ে দেন।

IMG_0764a_preview
এনাম আলী এমবিই তার বক্তেব্য  জানান, কারি শিল্পের চলমান  সংকট নিরসনে ১০০ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। যেখানে কারি শিল্পের  সমস্যা সমাধানের বেশ কিছু উপায় বাতলে দেওয়া হয়েছে। তিনি আশা করেন, এই প্রতিবেদন সমস্যা সমাধানের পথে এগিয়ে যাওয়ার রাস্তা খুলে দেবে।
নানা বিভাগে বিজয়ী গোটা বৃটেনের সেরা কারি রেস্টুরেন্টগুলোর উদ্যোক্তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় পুরস্কার। কারি শিল্পের নিবেদিত প্রাণ মানুষদের সম্মাননা জানানোর পাশাপাশি ছিল রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উপরে তৈরি ভিডিওচিত্রের প্রদর্শনী।

পশ্চিমা ঘরানার উচ্চমানের পরিবেশনা তো ছিলই। সঙ্গে ছিল কন্ঠশিল্পী সাঈদা তানির গাওয়া বাউল সম্রাট আবদুল করিমের গান।