পার্বত্য মেলা ২০১৭ শুরু

'স্বাধীনতার চেতনা অস্বীকারকারীদের প্রশ্রয় দেবেন না'

আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে শুরু হলো পার্বত্য মেলা ২০১৭। রাজধানী ঢাকার জাতীয় শিল্পকলা একাডেমিতে ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকালে এ মেলার উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।

24946179_2080409602191577_1918835608_o
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় জীবনে আজ এক গুরুত‌্বপূর্ণ দিন। বাংলাদেশ একটি ফুলের বাগান। মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খিষ্টান ও আদিবাসী মিলে আমরা এই বাগান পরিচালনা করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য আমাদের প্রধানমন্ত্রী যে শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন তা অতুলনীয়। কিন্তু কিছু মানুষ এই দেশে আছে যারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, জাতির পিতাকে অস্বীকার করে, স্বাধীনতার চেতনাকে অস্বীকার করে। তারা দেশের শত্রু। আপনারা কখনও তাদের প্রশ্রয় দেবেন না। আমরা বিদেশি অতিথি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দরকার হলে আমরা এক বেলা না খেয়ে সেই খাবার তাদের মুখে তুলে দেব। এ এক বিশাল মানবতা। বাংলাদেশের অপার জনগণ  তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। আজকে আমি আপনাদের আহ্বান করবো, সব বিভেদ ভুলে আপনারা একটি ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়বেন। সেই সাথে এই বাংলার ফুলের বাগানের সৌন্দর্যবর্ধনে সহায়তা করবেন।’

24992909_2080409615524909_1977966171_o
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সংসদ সদস্য কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরা ও ফিরোজা বেগম চিনু এবং সাবেক সচিব কাজী গোলাম রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা।

24957091_2080409642191573_1392498225_o
পার্বত্য এলাকার মানুষের জীবন-সংস্কৃতি, পোশাক-পরিচ্ছদ, ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে সমতলের মানুষদের পরিচয় করিয়ে দিতেই শুরু হয় পাঁচ দিনব্যাপী এই পার্বত্য মেলা। মেলা চলবে আগামী ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মেলায় দেশি-বিদেশি মিলিয়ে মোট ৯২টি স্টল রয়েছে।  প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামের শিল্পীদের নিয়ে মেলায় অনুষ্ঠিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

পার্বত্য এলাকায় বসবাসরত মানুষের উন্নয়নে জাতিসংঘ ২০০২ সালে ১১ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। সেই থেকে বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশে দিবসটি পঞ্চমবারের মতো পালিত হতে যাচ্ছে।