মিষ্টির নবযাত্রা

L BHOGবাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের উৎসব ও আনন্দের সঙ্গে বহুকাল ধরে মিশে আছে একটি খাবার। আর তা হচ্ছে মিষ্টি। উৎসব বা আনন্দের মূহুর্ত কিংবা উদযাপনের সময়গুলোতে মিষ্টির বিকল্প কিছু নেই। এটি একটি প্রসিদ্ধ খাবারও বটে। অনেক আবার শুভক্ষণে মিষ্টি ছাড়া ভাবতেই পারেন না। সেই অর্থে বলা যায় মিষ্টি কিন্তু আমাদের জীবনের সাথে নিবিড়ভাবেই জড়িত। সেই ভাবনা থেকেই দেশের সব জেলার প্রসিদ্ধ মিষ্টি গুলো নিয়ে ঢাকার গুলশানে যাত্রা শুরু করলো 'বাংলার মিষ্টি'।

বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি জেলাতেই পৃথক ও স্বতন্ত্র বৈশিষ্ঠ্যের মিষ্টি রয়েছে। সুনিপুন হাতে কারিগররা তা তৈরি করেন। ভৌগলিক কারণে হয়তো সব জেলার মিষ্টির স্বাদ অনেকেরই নেওয়ার সুযোগ হয় না। আর এ কারণেই বেঙ্গল সুযোগ করে দিয়েছে বিভিন্ন জেলার মিষ্টির স্বাদ গ্রহণের। যেখানে এক ছাদের নিচেই পাওয়া যাবে দেশের সব জেলার প্রসিদ্ধ মিষ্টিগুলো।ARX_1498_resize

'বাংলার মিষ্টি' উদ্বোধন করতে এসেছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। মিষ্টি নিয়ে শুনিয়েছেন তার জীবনের গল্পও। তিনি কখনো একটি মিষ্টি খাননি, একসঙ্গে তিন/চারটি মিষ্টি খাবেনই খাবেন। অভিনয়ের সুবাদে একবার গিয়েছিলেন রাজশাহীতে। সেখানে তিনি একটা বড় মিষ্টির দোকান দেখে গাড়ি থামিয়েছিলেন। দোকানী তো তাকে দেখে বেজায় খুশি। বারবার জিজ্ঞাস করতে লাগলেন কি খাবেন কি খাবেন। মন্ত্রী বললেন আপনার দোকানে কত ধরনের মিষ্টি আছে। দোকানী জানালেন ১৬ প্রকার। সে সময় তিনি একটানা ১৬ রকমের ১৬টি মিষ্টি খেয়েছিলেন।

তিনি আরও জানান, বাঙালির মতো এতো বৈচিত্রময় মিষ্টি পৃথিবীর আর কোথাও আছে কিনা তার সন্দেহ আছে। এটা একটি দারুণ মিষ্টির আড্ডাখানা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বাইরে আর কোথাও এত ধরনের মিষ্টি নেই। সেই জায়গা থেকে মিষ্টি বাঙালির নিজস্ব সম্পদ।বাংলার মিষ্টি

বাংলার মিষ্টি প্রথম দিনে ৩০ ধরনের মিষ্টি নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে। এখানে মণ্ডা, বালিশ মিষ্টি, দই, ছানার জিলাপী, চমচম, লাল মোহনসহ সব প্রসিদ্ধ মিষ্টি পাওয়া যাবে। মূলত দেশীয় সংস্কৃতির প্রসার ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরার এক প্রয়াস বেঙ্গলের এই 'বাংলার মিষ্টি'।