কাল বড়দিন, প্রস্তুত আলো ঝলমলে গির্জা

Kakrail Church (2)খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসবের নাম ‘খ্রিস্টমাস’, বাংলায় একে বলা হয় ‘বড়দিন’। যিশু খ্রিস্টের জন্মোৎসবকে কেন্দ্র করে এই উৎসব পালন করা হয়ে থাকে। বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই প্রতিবছর বড়দিন পালিত হয় ২৫ ডিসেম্বর। তবে রাশিয়া, জর্জিয়া, মিশর, আর্মেনিয়া, ইউক্রেন ও সার্বিয়ার মতো কয়েকটি ইস্টার্ন ন্যাশানাল চার্চ বড়দিন পালন করে থাকে ৭ জানুয়ারি তারিখে।

বড়দিন উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারও ঢাকার গির্জাগুলো সেজে উঠেছে উৎসবের রঙে। বেশ কয়েকটি গির্জা ঘুরে দেখা গেছে, গির্জার প্রতিটি অংশে করা হয়েছে আলোকসজ্জা। লাল, নীল ও সবুজ এলইডি লাইটে ঝলমলে হয়ে উঠেছে গির্জাগুলো। বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তাও।Kakrail Church (5)

ফার্মগেটের হলি রোজারি চার্চের ফাদার মিন্টু এল পালমা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বড়দিন উপলক্ষে আমাদের প্রস্তুতি তিন-চার সপ্তাহ আগে থেকেই শুরু হয়। আমাদের দু’ধরনের প্রস্তুতি থাকে— একটি আধ্যাত্মিক ও অন্যটি বাহ্যিক। আমরা আধ্যাত্মিকটিকেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকি। তবে বাহ্যিকটাও যথাযথ গুরুত্ব পায়। বড়দিন উপলক্ষে ২৪ তারিখ রাতে গির্জায় দু’টি প্রার্থনা রয়েছে— একটি রাত ৮টায়, অন্যটি রাত ১১টায়। সেই সঙ্গে ২৫ ডিসেম্বর আছে চারটি প্রার্থনা— সকাল সোয়া ৬টায়, সকাল পৌনে ৮টায়, সকাল সাড়ে ৯টায় ও সকাল ১১টায়। প্রার্থনা গির্জাতেই হবে, আর ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো পরিবারিক ও সামাজিকভাবে অনুষ্ঠিত হবে। আমাদের এখানে আনুষ্ঠানিকভাবে বাচ্চাদের জন্য কোনও ব্যবস্থা নেই।’

AG Church

কাকরাইল চার্চের ফাদার খোকন ভিনসেন্ট গোমেজ জানান, ‘বড়দিন উপলক্ষে আমাদের এখানে ২৪ তারিখ রাত সাড়ে ৮টায় প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ২৫ ডিসেম্বর সকাল ৭টায় একটি প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে আমরা আধ্যাত্মিক প্রস্তুতি নিয়ে থাকি। আমরা প্রার্থনা করে থাকি মন্দ দূর করে মুক্তিদাতা যিশুকে হৃদয় থেকে বরণ করে নেওয়ার। এ অনুষ্ঠান শুধু খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের জন্যই উন্মুক্ত থাকবে। আর বাচ্চাদের জন্যও বিশেষ কোনও ব্যবস্থা থাকছে না। সেই আনন্দ উৎসব, বিচিত্র অনুষ্ঠানও হবে না।’Holy Rosary Church (1)

মগবাজার এজি চার্চের ফাদার গডফ্রে বাড়ৈ জানান, ‘২৫ ডিসেম্বর আমাদের এখানে বাংলায় এবং ইংরেজিতে আলাদা আলাদা প্রার্থনা করা হবে। ইংরেজিতে প্রার্থনা শুরু হবে সকাল ৯টায় এবং বাংলায় শুরু হবে সকাল ১১টায়। প্রার্থনা শেষে পবিত্র বাইবেল থেকে আলোচনা হবে। আমরা দেশের মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা করি। শান্তি কামনা করে প্রার্থনা করি। আমাদের এখানকার অনুষ্ঠান সবার জন্য উন্মুক্ত। তবে রাতে কোনও আয়োজন থাকছে না।’Holy Rosary Church (2)

রাজধানীর গির্জাগুলো ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও হোটেলগুলোতে রয়েছে বড়দিনের বিশেষ আয়োজন। সেগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত।Holy Rosary Church (4)