এ বিষয়ে প্রীমা নাজিয়া আন্দালিব বলেন, শহরনামার কনসেপ্টের ওপরে ভিস্যুয়াল আর্টিস্টরা কাজ করছে। আমাদের মূল থিম নগর জীবনের বিভিন্ন উপাদান। এখানে আমি বেছে নিয়েছে ইন্টারসেকশন, অর্থাৎ বিচ্ছেদ। ইটারসেকশন অফ রোড। প্রতিদিন পথ চলতে আমাদের যান-বাহন, সড়ক সবার সঙ্গে একটা সম্পর্ক তৈরি হয়। আর প্রতিনিয়তই এই সম্পর্ক বিচ্ছেদ হয়।
আমি বেছে নিয়েছে চারুকলা থেকে জনবহুল একটি রাস্তা। এই রাস্তায় আমি গাদা ফুল পরে নেমে এসেছি। এই সড়কে সবই আছে তবে সবাই বিচ্ছিন্ন। আমি সবাইকে একসূত্রে বাঁধতে চেয়েছিলাম। প্রত্যেকে কাজ করছে নিজের মতো তবে কেউই একসঙ্গে সংযুক্ত ছিলো না।
আমি এই সড়কে বেদির ওপরে উঠে এলাম, মইয়ে উঠলাম, রাজপথে শুয়ে পড়লাম। সবাই ভীষণ কৌতুহলী হয়ে আমার দিকে তাকালো। সবাই ঘিরে ধরলো। অনেকে গাড়ি থামিয়ে যেখছে। এই যে পথচারি, শাহবাগের ফুলের দোকান আমাদের চলতি পথ বিচ্ছিন্ন সবাইকে একসূত্রে বেঁধেছি আমার এই লাইভ পারফর্মেন্স দিয়ে।
জনগণের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে প্রীমা বলেন, সবাই ভীষণ কৌতুহলী হয়ে দেখেছে। অনেকে তো চলন্ত গাড়ি থামিয়ে দেখেছে। কেউ অন্যের গাড়ি থামিয়ে দেখতে বলেছে এই আয়োজন। একসময় আমার গায়ের ফুলগুলো ছিঁড়ে নিয়ে ছড়িয়ে দেওয়ার অনুরোধ করলাম। সবাই কৌতুহলী হলেও ছিঁড়তে আগ্রহী হলো না কেউ।
উল্লেখ্য, গত শনিবার শুরু হওয়া শহরনামা শীর্ষক বিশেষ আয়োজন আজ সোমবার শেষ হলো।
ছবি: সংগৃহীত।