অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, সাহিত্য তৈরি করা কষ্টকর কিন্তু চেষ্টা করলে যে কেউই করতে পারে। আমি নিজেও বারো বছর বয়সে প্রথম একটা প্রবন্ধ লিখে পুরস্কার পেয়েছিলাম। যারা শিশু সাহিত্য লিখেন তাদের মধ্যে একটা অন্যরকম শক্তি থাকে। তারা সহজে শিশুদের আয়ত্ত করতে পারে। আর এই শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষৎ।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আমরা প্রায় প্রতিটি শিশুর স্কুলে যাওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত করেছি। এখন ঝরে পড়া শিশুর পরিমাণও কম। এটা আমাদের গর্বের বিষয়। আমি আশা করি যারা এই শিশুদের নিয়ে সাহিত্য লিখেন, বিশেষ করে আজ যারা এই শিশু সাহিত্য লিখে পুরস্কার পাচ্ছেন আপনারা আগামীতে এই পুরস্কারের মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখবেন।
শিশু একাডেমীর মহাপরিচালক ও কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, বর্তমানের ছোট্ট সোনামনিরা আমাদের দেশের সম্পদ। তাদের সুন্দর একটা পৃথিবী তৈরি করে দেওয়া আমাদের কর্তব্য। শিশু সাহিত্য যারা রচনা করেন, তারাই হচ্ছেন মূলত শিশুদের শিক্ষক। কারণ, শিশুর বোধগম্য করে লিখে তারাই শিশুদের বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা দিয়ে থাকেন। আশা করি, আগামীতেও আপনারা শিশু বিকাশের সহায়ক হিসেবে পাশে থাকবেন।
১৯৮১ সাল থেকে বাংলাদেশের শিশু সাহিত্যিকদের এই সম্মাননা বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর উদ্যোগে দিয়ে আসছে অগ্রণী ব্যাংক। নানা জটিলতায় এই সম্মাননা ছয় বছর দেওয়া হয়নি।
এবছর পূর্বের নাম বদলিয়ে ‘অগ্রণী ব্যাংক-শিশু একাডেমী শিশুসাহিত্য পুরস্কার’ নতুন নামে আবার চালু হলো এই সম্মাননা।
বিগত পাঁচ বছর সহ এবার ৭টি ক্যাটাগরিতে মোট ৩৯ জনকে পুরস্কৃত করা হলো।