পালিত হলো সপ্তম সাইকেল লেন দিবস

29791568_1510298379079516_6954387955939016704_oপ্রতি বছরের মতো এবারও সাইক্লিস্টদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে পালিত হলো 'সপ্তম সাইকেল লেন দিবস ২০১৮'। রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে শুক্রবার (৬ এপ্রিল) সকালে দেশের সকল সাইক্লিস্টদের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় এ অনুষ্ঠান। মানিক মিয়া এভিনিউ এর একপাশ বন্ধ রেখে বর্ণাঢ্য সাইকেল শোভাযাত্রার মাধ্যমে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণ ও সাইক্লিং উৎসাহিত করা হয়। এসময় দাবি জানানো হয় উন্নত বিশ্বের মতো রাজধানী ঢাকাতে আলাদা সাইকেল লেন করার। সাইকেল র‍্যালি ছাড়াও সেখানে সাইক্লিস্টরা রাস্তায় ব্যাডমিন্টন, দাবা, ক্যারামসহ নানা সাইকেলের কলাকৌশল দেখায়।

'জ্বালানী সাশ্রয়, যানজট রোধে সাইকেল লেন হোক বাস্তবায়ন হোক' এই স্লোগান নিয়ে সাইকেল লেন দিবস পালন করে সমবেত হওয়া সাইক্লিস্টরা।

30124182_1510298392412848_1997612937459531776_oএসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, বিজিএমইএ এর সাবেক সভাপতি মো: আতিকুল ইসলাম, চিত্রনায়ক ফারুক, দুরন্ত সাইক্লিং এর ব্র্যান্ড ম্যানেজার এ.এম. রাকিবুল হাসান, সাবেক ফুটবলার আবু নাসের খানসহ আরও অনেকে।

অনুষ্ঠানে আরেফিন সিদ্দিক বলেন, দৈনিক শারীরিক ব্যায়ামের একটা অংশ হলো সাইকেলিং। আমরা যদি নিয়মিত সাইকেলিং করি, তবে দেহ ও মন সুস্থ থাকবে। আমাদের তরুণ প্রজন্মের জন্য এটা খুবই জরুরি। আর এটা যদি বাস্তবায়ন করা যায় রাস্তায় গাড়ির ব্যবহার দ্রুত কমবে ও একটি বিশুদ্ধ নগরী গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

আতিকুল ইসলাম বলেন, উন্নত দেশগুলোতে সাইকেল লেন আলাদা করা আছে। আমরা উন্নত দেশের দিকে অগ্রসর হচ্ছি। সুতরাং আমাদেরও সাইকেল করা দরকার। সমাজকে মাদক মুক্ত করতে সাইকেলিং এর ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি, সামনের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে যদি জয়ী হতে পারি তবে এই ঢাকা শহরে আলাদা সাইকেল লেন করার ব্যবস্থা করব।

30226122_1510298372412850_3405989111033495552_oচিত্রনায়ক ফারুক বলেন, ইশোশন ছাড়া কোনও কিছু সম্ভব হয় না। ইমোশন না থাকলে এই বাংলাদেশের জন্ম হতো না। আমরা সাইকেল লেনটা চাই, এ কথা বলতে চাই না। আমাদের সাইকেল লেন দরকার, এটা বলতে চাই। আমাদের প্রধানমন্ত্রী দরদী, তার কাছে কিছু চেয়ে কখনও ফেরত আসেনি। আশা করছি, এই ঢাকা শহরে অচিরেই তিনি সাইকেলের আলাদা লেনের ব্যবস্থা করবেন।

30124025_1510298359079518_3057317713119543296_oঅনুষ্ঠানে আরো জানানো হয়, যানজটে দিনে নষ্ট হচ্ছে ৫০ লাখ কর্মঘন্টা। বছরে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ২২ হাজার কোটি টাকা। আর্থিক ও স্বাস্থ্যগত সমস্যা’  নগরীর যানজট পরিস্থিতির ভয়াবহতার চিত্র দূরিকরণে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণ ও সাইক্লিং উৎসাহিত করা অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। যানজটের ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে মানুষ প্রয়োজনীয় বিশ্রামের সময় পাচ্ছে না। ক্রমেই মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে যাচ্ছে। এ থেকে পরিত্রণের জন্য ব্যক্তিগত গাড়ির নিয়ন্ত্রণ করা খুবই জুরুরি হয়ে পড়েছে। ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়ন আরও জোরদার করা প্রয়োজন। তা না হলে ঢাকা শহর এক সময় স্থবির হয়ে যাবে।