স্কুলের বার্ষিক এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশ সবদিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের এই উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে হলে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন মননশীল মানবিক মানুষ। শুধু লেখাপড়া শেখালেই শিশুরা মননশীল হয়ে উঠবে না, এজন্য তাদের নাচ, গান, আবৃত্তি, নাট্যচর্চার সাথে সম্পৃক্ত করতে হবে। আমরা এখন আর একটি দেশের নাগরিক নই, আমরা এখন বিশ্বনাগরিক। শুধু পুঁথিগত বিদ্যা দিয়ে বিশ্বনাগরিক হওয়া যাবে না। এজন্য নিয়মিত সাংস্কৃতিক চর্চা আনিবার্য। শিক্ষার্থীদের নিয়মিত সাংস্কৃতিক র্চচায় জড়িত রাখার জন্য স্কলাস্টিকা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার ডেপুটি ফিচার এডিটর জাহিদ রেজা নূর। অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা রাখেন স্কলাস্টিকা উত্তরা জুনিয়র শাখার ভাইস প্রিন্সিপাল শাফকাত ইয়াসমিন ও নাট্যানুষ্ঠানের তত্ত্বাবধায়ক সৈয়দা লুৎফুন্নেসো শাওন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্কলাস্টিকার ডাইরেক্টর এ্যান্ড চিফ অপারেটিং অফিসার মিসেস ওয়াসীমা পারভীন।
নাটক সর্ম্পকে পরিচালক শারমিন আক্তার রুপার বলেন, প্রচলিত সংস্কার ও অন্ধবিশ্বাসের বিরুদ্ধে মুক্তবুদ্ধি ও স্বাধীন চিন্তার গান গেয়েছেন কবি এই নাটকে। ভেঙে দিয়েছেন আচার সর্বস্ব অন্ধ সংস্কারাচ্ছন্ন্ ধর্মের বাঁধ। তিনি এই নাটকের মধ্য দিয়ে একটি দেয়ালকে ভাঙলেন যে দেয়াল মানবাত্মার মুক্তিকে কেড়ে নিতে চেয়েছিল।
নাটক পরিবেশনা শেষে আয়োজকদের অনুরোধ মঞ্চে আবৃত্তি পরিবেশন করেন মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শামীমা আহমেদ।