থানকুনি পাতার যাদু

থানকুনি পাতা

 

ছোটবেলায় পেট খারাপ হলে, মায়েরা থানকুনি পাতার ভর্তা দিয়ে ভাত মেখে দিতেন। আগে চারপাশেই দেখা মিলতো থানকুনি পাতার। কিন্তু এখন একটু কমে গেছে এই পাতা। তবুও ভীষণ স্বাস্থ্যকর এই পাতাটি স্বাস্থ্য সচেতন লোকেরা খুঁজে বের করেন খাওয়ার জন্য। জেনে নিন থানকুনি পাতার উপকারগুলো---

১. চুল পড়ার হার কমে সপ্তাহে ২-৩ বার থানকুনি পাতা খেলে মাথার ত্বকের পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়। ফলে চুল পড়া কমতে শুরু করে। এমনিতেও পেস্ট করে হেয়ার প্যাক বানিয়ে চুলে থানকুনি পাতা ব্যবহার করলে চুল ঝলমলে হয়।

২. ক্ষতিকর উপাদান শরীর থেকে বেরিয়ে যায়: নানাভাবে সারা দিন ধরে একাধিক ক্ষতিকর উপাদান আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। প্রতিদিন সকালে অল্প পরিমাণ থানকুনি পাতার রসের সঙ্গে ১ চামচ মধু মিশিয়ে খেলে রক্তে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদানগুলি বেরিয়ে যায়।

৩. কেটে, ছড়ে যাওয়া স্থানের জন্য থানকুনি পাতা: থানকুনি পাতার অন্দরে উপস্থিত স্পেয়োনিনস এবং অন্যান্য উপকারি উপাদান এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো এবার থেকে কোথাও কেটে গেলে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে অল্প করে থানকুনি পাতা বেঁটে লাগিয়ে দেবেন। দেখবেন নিমেষে কষ্ট কমে যাবে।

৪. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে: থানকুনি পাতায় উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান হজমে সহায়ক অ্যাসিডের ক্ষরণ যাতে টিক মতো হয় সেদিকে খেয়াল রাখে। ফলে বদ-হজম এবং গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে না।

৫. ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়: থানকুনি পাতায় উপস্থিত অ্যামাইনো অ্যাসিড, বিটা ক্যারোটিন, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ফাইটোকেমিকাল ত্বকের অন্দরে পুষ্টির ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি বলিরেখা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই স্কিনের ঔজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে কম বয়সে ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও কমে।