সুবিধাবঞ্চিত নারীদের নিয়ে ‘কালারস ফ্রম দ্য চরস’

গাইবান্ধা কিংবা কুড়িগ্রামের প্রত্যন্ত চরগুলোতে নেই জীবনযাত্রার ন্যুনতম সুবিধা। দুর্গম এই চরগুলোর সুবিধাবঞ্চিত নারীদের কর্মসংস্থান করতে গিয়েই ‘ফ্রেন্ডশিপ’ সেখানে গড়ে তুলেছে কাপড় বুনন কেন্দ্র। শ’খানেক সুবিধাবঞ্চিত নারী কাপড় বুনছেন বাংলার ঐতিহ্যবাহী তাঁতে। তা নিয়েই ঢাকায় প্রথম প্রদর্শন কেন্দ্র শুরু করলো ফ্রেন্ডশিপের ‘কালারস ফ্রম দ্য চরস।’

1 Opening
৮ মে বারিধারার কালাচাঁদপুরে উদ্বোধন হয়ে গেল ফ্রেন্ডশিপের ‘কালারস ফ্রম দ্য চরস’ এর প্রথম প্রদর্শন কেন্দ্রের। এসময় উপস্থিত ছিলেন ফ্রেন্ডশিপের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রুনা খান, কালারস ফ্রম দ্য চরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর নাজরা মাহজাবিন সাবেতসহ আরও অনেকে।  
প্রদর্শন কেন্দ্রে পাওয়া যাচ্ছে হাতে বোনা তাঁতের শাড়ি, সেলাইবিহীন সালোয়ার কমিজ, স্কার্ফ, ওড়না এবং দক্ষ কারুশিল্পীদের তৈরি বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাগুলোর ক্ষুদ্র সংস্করণ।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনে রুনা খান বলেন, ‘ফ্রেন্ডশিপের কালারস ফ্রম দ্য চরস এর মূল ধারণাটি হলো, চরে বসবাসকারী সর্বাধিক প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন করা। তাদের আশা এবং শ্রমের মর্যাদা প্রদান করা এবং একই সঙ্গে পরিবেশবান্ধব উপায়ে প্রয়োজনীয় উৎপাদন করা।’

গাইবান্ধার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে
বুননের জন্য এখানে মূলত সুতি এবং সিল্কের সুতা ব্যবহার করা হয়। রং করা, ছাপা, সূচিকর্ম এবং কাপড় তৈরির পুরো প্রক্রিয়াতে দেশীয় পদ্ধতি এবং দেশীয় তাঁত ব্যবহার করা হয়। কাপড় তৈরিতে ব্যবহার করা রং পুরোটাই প্রাকৃতিক। কোনও ধরনের ক্ষতিকারক রাসায়নিক রং এখানে ব্যবহার করা হয় না।

গাইবান্ধার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনের সময় প্রদর্শন কেন্দ্রে ছিল তাঁতে কাপড় বোনার সম্যক প্রদর্শনী। ছিল কাঠের নৌকার ক্ষুদ্র সংস্করণ তৈরির আয়োজন। এ সময় অতিথিরা প্রদর্শন কেন্দ্রটি ঘুরে দেখেন।   

প্রদর্শীত শাড়ি
ফ্রেন্ডশিপ সম্পর্কে
ফ্রেন্ডশিপ একটি প্রয়োজনীয়তাভিত্তিক বেসরকারী সংস্থা (এনজিও) যা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করে। ২০০২ সালে রুনা খান কর্তৃক ফ্রেন্ডশিপ প্রতিষ্ঠিত হয় একটি ভাসমান হাসপাতালের উদ্ভাবনী ধারণা দিয়ে। তারপর ফ্রেন্ডশিপ ক্রমাগতভাবে তার স্বতন্ত্র সমন্বিত সামাজিক উন্নয়ন মডেল তৈরি করে প্রত্যন্ত এলাকায় নিয়মতি কাজ করে যাচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সমন্বিত নাগরিকত্ব, স্থায়ী অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সাংস্কৃতিক সংরক্ষণ।