তেঁতুলতলার খোকা মিয়ার রসগোল্লা দেশ ছাড়িয়ে বিদেশে



ফরিদপুর শহরের কমলাপুরের তেঁতুলতলার মোড়ের মিষ্টির সুনাম শুনে খেয়ে তারিফ করেননি এমন লোক পাওয়া যাবেনা। শুধু দেশের বিভিন্ন অঞ্চলেই এই মিষ্টি চাহিদা নয়, দেশের বাইরেও বিশেষ করে আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় আপনজনদের প্রায়ই এই মিষ্টি নিয়ে যায় লোকজন। এমনটাই বল্লেন এই মিষ্টির দোকানের চতুর্থ প্রজন্মের উত্তরাধিকারী টেক্সটাইল ইনঞ্জিনিয়ার এস এম কৌশিক আহমেদ। যিনি দোকানের কাজে কাকা আমির হোসেনকে সাহায্য করেন।

তিনি বলেন তার প্রপিতামহ শেখ ছবদার হোসেন আনুমানিক ১৯৫০ সালের দিকে জেলা প্রশাসনের জায়গা লিজ নিয়ে এই দোকান প্রতিষ্ঠা করেন। তখন এখানে সিংগাড়া, ডালপুরির পাশাপাশি রসগোল্লা ও নিমকি বিক্রি করা হতো। তার মৃত্যুর পর ছেলে মোঃ জহুরুল হক খোকা মিয়া দোকানের দায়িত্ব পান। তৌফিক বলেন তার দাদার নামেই পরে এই দোকান ও মিষ্টির নাম হয় খোকা মিয়ার মিষ্টির দোকান।

32565081_1831743056847416_1123148980289536000_nকৌশিক জানান, কাঠের চুলায় প্রতিদিন প্রায় ৫মণ দুধ জ্বাল দিয়ে আগের দিনের ছানার পানি তাতে মিশিয়ে ছানা তৈরি করে মিষ্টি বানানো হয়। দুধ সংগ্রহ হয় শহরের পার্শ্ববর্তী গ্রাম ও চর এলাকারর দেশি গরু থেকে। রসগোল্লার পাশপাশি কালোজাম ও নিমকিও বানানো হয়। প্রতিটি রসগোল্লা ১০ টাকা দরে ও প্রতি কেজি  ২০০ টাকায় বিক্রি করা হয়। এক সময় দাদা ও চাচারাই মিষ্টি বানান ও বিক্রি কাজ করলেও এখন চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় তিন জন কারিগর রেখে তৈরির কাজ করা হয়। আর বিক্রির কাজ তারাই করেন।

32649115_1831743006847421_9185616370925043712_nশহরের কমলাপুর এলাকার বাসিন্দা শাহজাহান বিশ্বাস বলেন, ‘তেঁতুলতলার মিষ্টি' নামে প্রসিদ্ধ, স্বাদে ও মানে অসাধারণ এই রসগোল্লা এক দুইটিতে মুখ ফিরেনা। প্রতিদিন বহুদূর  থেকে লোক এসে নিয়ে যায় এই মিষ্টি।