এই ঈদে আরামের ট্রেন্ডি পোশাক

_HA_0873ঈদ মানেই অনাবিল আনন্দ, তাই ঈদকে কেন্দ্র করে বিশ্বরঙের ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে সারা বছর জুড়ে। কেননা ঈদকে ঘিরেই আমাদের দেশের মূল ফ্যাশন সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। সারা বছর জুড়ে ফ্যাশন নিয়ে যত নতুন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়, তার বহিঃপ্রকাশ ঘটে প্রতিবারের ঈদে। তাই সুদীর্ঘ ২৩ বছর ধরে নিত্য নতুন ট্রেন্ড নিয়ে ঈদ আয়োজন করে থাকে।

এবারের ঈদ প্রচণ্ড গরমের পর পরই বর্ষার মধ্যে হওয়ায় বিশ্বরঙ এবার বর্ষার বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করে সাজিয়েছে এবারের ঈদ আয়োজন। পোশাক এর ধরনটা এবং  কি ধরনের উপকরণ ব্যবহার করা হবে বিশ্বরঙ আগে থেকেই চিন্তা ভাবনা করে রেখেছে।

বিশ্বরঙ চেষ্টা করেছে ঈদ উৎসবে আরামটাকে কিভাবে বেশি দেওয়া যায়। এজন্য সুতি কাপড় প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এছাড়া উৎসবে অনেকেই জমকালো পোশাক পছন্দ করে সেক্ষেত্রে ক্রেতা সাধারণের চাহিদা অনুসারে এন্ডি, এন্ডি সিল্ক, সিল্ক, মসলিন, রেশমি কটন এর পোশাকে, সাধারণ ও ভরাট নকশার সুক্ষ্ম কাজ করা হয়েছে। সালোয়ার-কামিজ এর কাটিং এবং প্যাটার্নে অনেক নতুনত্ব আনা হয়েছে, প্যাটার্নে রয়েছে-লেয়ার কাট, লং লেয়ার কাট, কোটি, ড্রাপিং টেংনিক, পিনটাক ছাড়াও থাকছে নিরিক্ষামূলক কাজের ভিন্ন ভিন্ন প্রয়াস।

বরবরের মতো রঙের সমাহারকে ‘বিশ্বরঙ বেশি প্রাধান্য দিয়েছে। রং বৈচিত্র্যে বর্ষার নীল রং ছাড়াও হাল্কা বা উজ্জল সব রঙের কম্বিনেশন ব্যবহৃত হয়েছে। এছাড়া সেলফ সুতার লাইট ও ডিপ কালার ব্যবহার করা হয়েছে একই পোশাকে। এছাড়াও  বিশ্বরঙের বৈশিষ্ট্য উজ্জল রঙের ট্রেন্ড বা ধারা বজায় রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের নকশা ব্যবহার করা হয়েছে। ব্লক, টাই-ডাই, স্ক্রিন-প্রিন্ট, এ্যাপলিক, এ্যামব্রয়ডারি, কারচুপি, আড়ি, হাতের ভরাট কাজ, লেস, কাতানপাড় ইত্যাদি মিডিয়া হিসাবে ব্যবহার করে ভিন্ন এক নান্দনিকতার রূপ দেওয়া হয়েছে প্রতিটি পোশাকে।

তাঁতের এক্সক্লুসিভ শাড়ির পাশাপাশি  হাফসিল্ক, জামদানী, কাতান, মসলিন, রেশমি কটন  শাড়ি নিয়ে কাজ করা হয়েছে। এছাড়াও আধুনিক সৌন্দর্য্য চেতনাকে সামনে রেখে পোশাক এর পাশাপাশি আনস্টিচ থ্রি পিস, মগ, ওড়না, ব্লাউস পিস, রুমাল, বিছানার চাদর, কুশন কভার, ফ্যাশনেবল ব্যাগ ও নানারকম বৈচিত্র্যময় সুন্দর ও প্রয়োজনীয় গৃহস্থালী পসরা বসেছে সকল শোরুমে।