সাতক্ষীরায় মধুমাসে চলছে আমসত্ত্ব তৈরি

35164912_1861560657198989_3552083849536077824_nদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা সাতক্ষীরার আম গত তিন বছর ধরে বিদেশে যাওয়ার ফলে দিনে দিনে এ অঞ্চলে আম চাষে নীরব বিপ্লব ঘটছে। এতে বহু বেকার মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। হিমসাগর আর ল্যাড়া আমের রাজধানী সাতক্ষীরার মানুষ বহুকাল ধরেই আম চাষে জড়িত। দেশের জন্য আম একটি মৌসুমি ফল হলেও সাতক্ষীরা জেলার এটি প্রধান অর্থকরী ফসল।

জৈষ্ঠ্যের মধুমাসে আমের রাজ্যে সাতক্ষীরায় বাড়িতে বাড়িতে আমসত্ত্ব তৈরির ধুম পড়ে গেছে। শহরের রাজার বাগান, ধুলিহর, মুনজিতপুর, মেহেদিবাগ, আলিয়া মাদ্রাসা পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে প্রতিটি বাড়িতে নারীরা আম সত্ত্ব তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে।

35143781_1861560633865658_536694350189428736_nশহরের মেহেদীবাগ এলাকার গৃহিনী শামিমা জামান বলেন, আবহাওয়া ও পরিবেশগত কারণে সাতক্ষীরার অনেক আগে পেকে যায়। যে আমগুলো বেশি পেকে যায় সেই আম দিয়ে আমসত্ত্ব তৈরি করা হয়। এটি তৈরি করতে প্রথমে আম চটকে নিতে হয়। এবার একটি বাঁশের কুলা, ডালা বা পছন্দের পাত্রে সরিষার তেল মাখিয়ে তার ওপরে লেপে দিতে হয়। তারপর এই কুলা বা ডালাকে রোদে দিয়ে শুকিয়ে কৌটায় ভরে সংরক্ষণ করে সারা বছর খাওয়া যায়।

সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, গত ১৯ মে থেকে ৪র্থ বারের মতো ইউরোপের বাজারে সাতক্ষীরার আম রপ্তানি শুরু হয়। প্রথম ধাপে আম পাঠানে হবে ইউরোপীয় ইউনিভুক্ত দেশ ইতালি, ফ্রান্স, জার্মান, যুক্তরাজ্য ও স্পেনে।

এছাড়ার দেশের বিভিন্ন চেইন শপে এই আমগুলো পাওয়া যাচ্ছে নিয়মিত।

শহরের বড় বাজারের মসল্যা ভান্ডারের সত্ত্বাধিকারী আবুল কাশেম বলেন, সাতক্ষীরায় আমের চাষ বেশি হচ্ছে। আম একটু বেশি পেকে গেলে সেটা দিয়ে গ্রামের নারীরা আমসত্ত্ব তৈরি করে। তারা আমাদের কাছে এসে দিয়ে যায়। আমরা ২০০ টাকা করে কেজি বিক্রি করছি।

35144697_1861560667198988_2658043951121956864_nসাতক্ষীরা সদর উপজেলা কৃষি কমর্কতা ও বিদেশে আম রপ্তানির সমন্বয়ক কৃষিবিদ আমজাদ হোসেন বলেন, জেলার আম সারাদেশে সুনাম কুড়িয়েছে। গত তিন বছর ধরে দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশে রফতানি হচ্ছে। এই জেলার আম্রপলি, ল্যাংড়া, হিমসাগর ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশে ২০০ মেক্টিক টন আম রফতানি হচ্ছে।