কমে গেছে ঈদ কার্ডের প্রচলন!

একসময় ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের অন্যতম মাধ্যম ছিল ঈদ কার্ড। কিন্তু সময়ের বির্বতনে ঈদ কার্ড আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। সেই জায়গা দখল করে নিয়েছে ভাচুর্য়াল ঈদ কার্ড বা ই-কার্ড। এছাড়া ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে মোবাইল ফোন এসএমএস।
এবার ঈদকে সামনে রেখে সাতক্ষীরা শহরের অনেক দোকান ঘোরাঘুরির পর হাতে গোনা মাত্র কয়েকটি দোকানে ঈদ কার্ড বিক্রি করতে দেখা গেল। শহরের সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন মিনি মার্কেটের দুটি দোকান ও বড়বাজার এলাকায় দুটি দোকানে ঈদের কার্ড বিক্রি করতে দেখা যায়। কিন্তু ঈদ কার্ডের ক্রেতা নেই বললেই চলে। দোকানি জানালেন সারাদিনে মাত্র কয়েকজন ক্রেতা এসে খুজেছেন ঈদ কার্ড।

1
ঈদ কার্ড বিক্রেতারা জানান, এখন সবাই ঈদে শুভেচ্ছা ইন্টারনেটের মাধ্যমে আদান-প্রদান করেন। ফলে কমে গেছে ঈদ কার্ডের প্রচলন।  
সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী শিরিন আক্তার বলেন,‘এখান থেকে কয়েক বছর আগেও বন্ধু ওছোট ভাইবোনদের জন্য ঈদ কার্ড কিনতাম। কিন্তু এখন আর ঈদে চলে না এগুলো। এখন এসএমএস,ইমো,ম্যাসেঞ্জার, ফেসবুক বা ই-মেইলের মাধ্যমে ঈদ শুভেচ্ছা দিয়ে থাকি।’
সাতক্ষীরা সরকারি বালিক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুসরিকা অদ্রি বলেন,‘ঈদ কার্ড দেওয়া সত্যি অনেক আনন্দের বিষয়। কিন্তু দিন দিন এসবের প্রচলন হারিয়ে যাচ্ছে। তবে আমি এখনও ঈদ কার্ড ব্যবহার করি।’
সাতক্ষীরা শহরের আপন প্রিন্টিং প্রেসের স্বত্বাধিকারী আশরাফুল ইসলাম খোকন বলেন,আজ থেকে কয়েক বছর আগে যে পরিমাণ কার্ড ছাপা হতো এখন এ পরিমাণ কার্ড ছাপা হয় না। এবার ঈদ উপলক্ষে মাত্র কয়েকটি ডিজাইনের ঈদ কার্ড করা হয়েছে। ৫ টাকা থেকে ১০ টাকার মধ্যে অধিকাংশ কার্ড পাওয়া যাবে। শহরের সোনামনি ছবিঘরের স্বত্বাধিকারী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বর্তমান ডিজিটাল যুগে এখন আর তেমন কেউ কার্ড কিনতে আসেন না। তিনি আরও জানালেন,তার কাছে ডিজিটাল কার্ডও আছে। দাম ২০০ টাকা। কিছু কার্ড আছে যেগুলো দিয়ে মিউজিক ও লাইটের মাধ্যমে ঈদের শুভেচ্ছা জানানো যাবে। এগুলোর দাম ১৬০ টাকা। তবে এক সময় যে পরিমাণ কার্ড বিক্রি হতো এখন আর সে রকম বিক্রি হয় না।