ওয়ারশো শহরের ইতিহাস নিয়ে চিত্রপ্রদর্শনী

পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশো শহরের উপর নির্মম ধ্বংসযজ্ঞ চালায় জার্মান নাৎসি বাহিনী। এই নির্যাতনের পর সাধারণ মানুষের প্রচেষ্টায়ই আবার নতুন করে মাথা তোলে ওয়ারশো শহর। ১৯৩৯-১৯৫৫ সালের ওয়ারশো শহরের ধ্বংস ও পুনঃগঠনের চিত্র নিয়ে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সহযোগিতায় পোলিশ ইনিস্টিটিউশন নিউ দিল্লী’র আয়োজনে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের আর্ট গ্যালারিতে শুরু হয়েছে ‘অ্যা ফনিক্স ফ্রম দ্য এ্যাশেজ ডিসট্রাকশন অ্যান্ড রিকনস্ট্রাকশন অব ওয়ারশো ১৯৩৯-১৯৫৫’ শিরোনামে চিত্রপ্রদর্শনী।

thumbnail
গতকাল ২৬ জুন বিকালে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের আর্ট গ্যালারীতে দশ দিনব্যাপী এই চিত্রপ্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের উপপরিচালক উজ্জ্বল হোসেন এর সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ঢাকায় নিযুক্ত অনারারি কনসাল অব দ্যা রিপাবলিক অব পোল্যান্ড রেশাদুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম ট্রাস্টি, লেখক ও গবেষক মফিদুল হক, চিত্রশিল্পী জামাল আহমেদ, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শরীফ মাহমুদ মাসুদ এবং পোলিশ ইনিস্টিটিউশন নিউ দিল্লীর ভিজ্যুয়াল আর্ট স্পেশালিষ্ট অনিতাসি ভিসকা।

dd
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে পোল্যান্ডের প্রথম স্বীকৃতির কথা উল্লেখ করে মফিদুল হক বলেন, ‘পোল্যান্ডের কাছ থেকে বাংলাদেশের অনেক কিছু শেখার রয়েছে। কারণ দুটি দেশেরই ইতিহাস প্রায় একই রকম। তারা যেভাবে ধ্বংসযজ্ঞ থেকে নিজেদের প্রচেষ্টায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে, তা থেকে আমরাও আমাদের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার ব্যাপারে শিক্ষা নিতে পারি।’ বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শরীফ মাহমুদ মাসুদ বলেন, ‘পোল্যান্ডের সাথে আমাদের ইতিহাস ও সংস্কৃতির অনেক মিল রয়েছে। একসময় আমাদের দেশ থেকে প্রচুর ছাত্রছাত্রী পোল্যান্ডে পড়ালেখা করতে যেত।’ এই ধারাটি আগামীতেও থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে বাংলাদেশি তরুণদের এই প্রদর্শনীতে আসার আহ্বান জানান তিনি।
চিত্রপ্রদর্শনী উদ্বোধনের পর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের চলচ্চিত্র মিলনায়তনে ‘ওয়ার শো আপরাইজিং’ শিরোনামে একটি তথ্যচিত্র প্রর্দশন করা হয়।
প্রদর্শনীটি আগামী ৬ জুলাই পর্যন্ত প্রতিদিন বিকাল তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।