গবেষণা প্রবন্ধটির প্রধান লেখক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহিও স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনস কাইকোল্ট গ্লাসার বলেন, আমরা মনে করি যে এই দৈনন্দিন দাম্পত্য কলহ অন্তত কিছু লোকের ক্ষেত্রে অন্ত্রে পরিবর্তন ঘটায় যা প্রদাহে রূপ নিতেপারে এবং পরবর্তীতকালে অসুস্থতার কারণ হতে পারে৷
এই গবেষক দল ৫০ জন সুস্থ বিবাহিত দম্পতিদের সম্পর্কের উপর জরিপ করেন৷ তারপর দম্পতিদের নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে দৃঢ় মতানৈক্যের জন্য উদঘাটিত দ্বন্দ্ব সমাধান করতে উৎসাহিত করা হয়৷ গবেষকরা দম্পতিদের একান্তে এই আলোচনার সুযোগ দেন৷ তাদের পারস্পরিক আলোচনা ২০ মিনিট ভিডিও রেকর্ড করা হয় এবং পরে দেখা হয় তারা কিভাবে তর্ক-বিতর্ক করেছেন৷ গবেষকগণ দম্পতিদের মৌখিক এবং অ-মৌখিক (আচরণগত) বাদানুবাদের আচরণবিন্যাস শ্রেণিভূক্ত করেন, এক্ষেত্রে দম্পতিদের প্রতিকূল আচরণ এবং কিছু বিষয় যেমন চোখের ভাষা, একে অন্যের সমালোচনা করা ইত্যাদি গুরুত্বের সাথে পর্যবেক্ষণ করা হয়৷
যে স্বামী অথবা স্ত্রী তাদের একান্ত আলোচনার সময় অধিক প্রতিকূল আচরণ করেছেন, তার মধ্যে সঙ্গীর থেকে বেশি লিকি গাটস্ এবং লিপোপলিস্যাকারাইড (এলপিএস) বাইন্ডিং প্রোটিন পাওয়া গেছে৷ লিপোপলিস্যাকারাইড বাইন্ডিং প্রোটিন ব্যাকটেরিয়ার লিপোপলিস্যাকারাইডের সঙ্গে বন্ধন সৃষ্টি করে এবং ইহা সংক্রমণ সৃষ্টি করতে পারে৷
গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের সঙ্গীর সঙ্গে প্রতিকূল সম্পর্ক রয়েছে এবং একই সঙ্গে বিষণ্নতা অথবা মেজাজ সংক্রান্ত ব্যাধি আছে তাদের ক্ষেত্রে লিকি গাট ছিল সর্বাধিক৷
গবেষণায় সঙ্গীর সঙ্গে বিরূপ সম্পর্কের সাথে লিপোপলিস্যাকারাইড বাইন্ডিং প্রোটিন (এলবিপি) এর একটি শক্তিশালী সংযোগ দেখা গেছে, যা রক্তে ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি নির্দেশ করে৷ এছাড়া লিপোপলিস্যাকারাইড বাইন্ডিং প্রোটিন (এলবিপি) এর সাথে প্রদাহেরও শক্তিশালী সংযোগ পাওয়া গেছে৷
গবেষক কাইকোল্ট-গ্লাসার বলেন লাইফস্টাইল পরিবর্তন করলে অন্ত্র সংক্রান্ত প্রদাহ কমতে পারে যেমন খাদ্যে বেশি পরিমাণ চর্বিহীন প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি, ফল, শাকসবজি এবং আস্ত শস্যদানা রাখতে হবে৷ প্রোবায়োটিক (স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী অণুজীব) সমূহও এক্ষেত্রে ফলপ্রসূ হতেপারে৷
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টিভি এবং ইন্দো-এশিয়ান নিউজ সার্ভিস (আইএএনএস)৷