সব মিলিয়ে মোট ৩৩টি চিত্র নিয়ে এই প্রদর্শনী। আর এর একমাত্র কারিগর হলেন তমা সাহা।
৭ দিন ব্যাপী এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন হলো গত ৪ অক্টোবর। যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হক, শিশু সাহিত্যিক আলী ইমাম এবং কার্ডিয়াক ডা. জাহাঙ্গীর কবির। উর্মিমুখর প্রদর্শনীটি দেখে আসতে চাইলে আপনাকে পৌঁছে যেতে হবে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের ৪র্থ তলায়।
২০১২ সালে শুরু হয় ক্যানভাসে তুলির আঁচড়। পড়াশোনা এবং অফিসের ব্যস্ততার পরেও কিছুটা সময় নিবেদন করেন নিজের শখের পেছনে। হ্যাঁ, বলা হচ্ছে শিল্পী তমা সাহার কথাই। প্রদর্শনীতে গিয়ে দেখা গেলো নিজের আঁকা ছবিগুলো খুব মনোযোগ সহকারে পরখ করছেন। আর কেনই বা নয়? এটাই যে তার সর্বপ্রথম একান্ত চিত্রপ্রদর্শনী।
নিজের এই প্রদর্শনী সম্পর্কে কেমন মনোভাব তমা সাহার? প্রশ্নটি জিজ্ঞেস করতেই সহজ সরল স্বীকারোক্তি, ‘এটা আমার নিজের জন্য অনেক বড় অবদান। আমি প্রথমে ভাবতে পারিনি যে এতটা সাড়া মিলবে’!
হাতেখড়ির শুরু
হাতেখড়ির শুরুটা হয়েছিল সেই ছোটবেলা থেকেই। বাবার কর্মসুত্রে ঘুরে বেরিয়েছেন পুরো দেশ। তাই বিভিন্ন অঞ্চলের বৈচিত্র্য ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা শুরু করেন ক্যানভাসের মধ্য দিয়েই। আর অনুপ্রেরণা হিসেবে ছিল বড় বোনের আঁকা বিভিন্ন ছবি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের গ্রাফিক্স বিভাগ থেকে পড়লেও ছোটবেলার পুরনো শখ ছবি আঁকা থেকে নিজেকে কখনওই সরিয়ে রাখেননি।
তাই এবার পুরো সময়টাই বেছে নিয়েছেন নিজের স্বতন্ত্র চিত্রপ্রদর্শনীর জন্য। আর তার পছন্দের কাজের মধ্যে রয়েছে ক্যানভাসে আঁকা অ্যাক্রেলিক রঙের কাজ।
প্রদর্শনীর শেষবেলা
ফেরার সময় জিজ্ঞেস করা হয় প্রদর্শনীটির নাম সম্পর্কে। ‘কেন উর্মিমুখর?’ উত্তরটাও পুরো প্রদর্শনীর ছবিগুলোর মতই বিচিত্র। সমুদ্রের একেকটি ঢেউ যেমন একেক রকম হয়, তেমনি তমা সাহার আঁকা ছবিগুলোও। গৌতম বুদ্ধের ছবি যেমন এই তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে, তেমনি দেবী দুর্গা, আন্দামানের সমুদ্র থেকে শুরু করে গ্রামীণ জীবনও বাদ যায় নি। তাই এই নামটিই বেছে নেওয়া।