সোনার গয়নার সম্ভার

image JHকেনাকাটার সময় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রয়োজনের চেয়ে আমাদের সাধটাই বেশি প্রাধান্য পায় এবং এটা বিশেষত ঘটে সোনা ও হীরের গয়না কেনার ক্ষেত্রে। গয়না কেনার সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে গ্রাহকের মন:স্তাত্ত্বিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক সব প্রেক্ষিতই উঠে আসে। গয়না কেনার ক্ষেত্রে দরকষাকষির চেয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার ভালোবাসাই বেশি প্রকাশ পায় আর এ ভালোবাসার মাধ্যমেই ক্রেতা তার পছন্দের গয়নাটি কেনেন।

গয়না আভিজাত্য আর সৌন্দর্যের মিশেল; আর এর পশাপাশি গয়না কেনার সময় সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পায় একজন গ্রাহকের মনের চাওয়া। বিক্রেতাকে আগে বুঝতে হবে ক্রেতা মূলত কি চাচ্ছেন। ক্রেতার সাধ ও সাধ্যের আদর্শ সংমিশ্রণ ঘটিয়ে একজন গ্রাহকের কাছে গহনা বিক্রি করাতেই পূর্ণতা মেলে বিক্রেতার।

সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে শুধুমাত্র উৎসব-পার্বণে গহনা কেনার ধারণা আমাদের এখানে এখন অপ্রচলিত। যখনই সাধ্যে কুলোয়, মানুষ ভিড় করছে গহনার দোকানে। নিজেদের পছন্দ আর চাওয়া অনুযায়ী এলাকার দোকান থেকে শুরু করে বড় বড় ব্র্যান্ডের গহনার দোকানের সাথে সখ্য গড়ে তুলছেন ক্রেতারা। একটি পরিবারের এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মের স্মৃতি বহন করছে মূল্যবান গহনা সামগ্রী।

একইভাবে ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশি গ্রাহকদের পছন্দসই ও রুচিশীল গহনা দিয়ে আসছে দেশের সবচেয়ে সুপরিচিত জুয়েলারি হাউজ জড়োয়া হাউজ এবং কষ্টার্জিত অর্থে গয়না ক্রয়ে ৫০ বছরের বেশি সময় ধরেই জড়োয়া হাউজে আস্থা রেখেছেন ক্রেতারা। বাহারি সৌন্দর্যের আকর্ষণীয় গয়নার পাশাপাশি উন্নতমানের গ্রাহকসেবা প্রদানেও প্রশংসিত জড়োয়া হাউজ। এ কারণে, স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময় থেকে এখন পর্যন্ত গ্রাহক ধরে রাখায় নিজেদের সক্ষমতা প্রমাণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। জড়োয়া হাউজের মনকাড়া ও নিখাদ সব গহনা পরিধান করছেন ক্রেতাদের প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম।

প্রজন্ম বদলাচ্ছে, বদলাচ্ছে মানুষের চাহিদাও। একটা সময় ছিলো যখন মানুষ গহনা কেনার সময় ভারি স্বর্ণকেই প্রাধান্য দিত। এখন চাহিদা বেড়েছে হালকা হীরের গহনার কিংবা স্বর্ণের প্রলেপ করা জুয়েলারির। বিয়ের সময় অবশ্য কমবেশি সবাই ভারি গহনাই পছন্দ করেন। জড়োয়া হাউজ গ্রাহকের চাহিদা মোতাবেক স্বর্ণ-হীরের গহনা বিক্রি করে অর্জন করেছে ক্রেতাদের অসীম আস্থা।