ঘর সাজাতে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ

6 Decorating and Remodeling Tips From a Top Interior Designer (Lifestyle Article with Image)আপনার সাধের ঘরটি নতুন করে সাজানো বা নতুন রূপ দিতে চাচ্ছেন? আপনার সহায়তায় জন্য পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্বের অন্যতম নামকরা ডিজাইনার গ্র্যান্ট কে. গিবসন। প্রায় ১৫ বছর ধরে ইন্টেরিয়র ডিজাইনের কাজ করছেন ৩৯ বছর বয়সী এই ডিজাইনার। টাইম ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনের আলোকে চলুন জেনে নেই, আপনার জন্য ঠিক কী পরামর্শগুলো দিয়েছেন গিবসন।

১. ঠিক ‘কী’ চাচ্ছেন?

প্রথমেই ঠিক করুন ঠিক কী চাচ্ছেন। আপনি যে ঘরটি ডিজাইন করতে চাচ্ছেন, সেটির মাধ্যমে কী বুঝাতে চাচ্ছেন? ঠিক কোন স্টাইলটি পছন্দ আপনার? নিজেকেই নিজে এ বিষয়ে প্রশ্নগুলো করুন। উত্তর অনুযায়ী কাজ শুরু করুন, প্রয়োজনে বিষয়গুলো কাগজে টুকে রাখুন। আপনার ঘরের ডিজাইনকে প্রাণবন্ত করে তোলার প্রথম ধাপই হচ্ছে এটি।

২. বাদ দিন অপছন্দের জিনিসগুলো

গিবসন মন্তব্য করেছেন, মানুষ ঠিক কী পছন্দ করে তা বলার চেয়ে কোন জিনিসগুলো অপছন্দ করে সে জিনিসগুলো সহজে বলতে পারে। সুতরাং ঠিক কোন জিনিসগুলো আপনার ঘরের ডিজাইনে থাকবে না, সে বিষয়গুলো ঠিক করে ফেলুন। দেখবেন ঠিক কোন জিনিসগুলো ঘরের ডিজাইনে থাকবে, সে বিষয়টি পরিস্কার হতে শুরু করেছে।

৩. এমনভাবে ঘর সাজান যাতে করে ঘরে জায়গা থাকে

অনেকেই ঘর সাজাতে গিয়ে বিরূপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হন। দেখা যায়, ঘর ঠিকই সাজানো হয়েছে, কিন্তু হাঁটা-চলার জায়গা কমে গেছে। এ বিষয়ে গিবসনের ভাষ্য হচ্ছে, ঘরের বাড়তি জায়গাটুকুও ডিজাইনের অংশ। সুতরাং চেষ্টা করুন এমনভাবে ডিজাইন করতে যাতে হাঁচা-চলার বা বসার জায়গার ক্ষেত্রে কোনও বিরূপ প্রভাব না পড়ে। বিষয়টি ঘরের মাপ অনুযায়ী আপনাকেই নির্ধারণ করতে হবে। প্রয়োজনে সরিয়ে দিন বাড়তি ফার্নিচার। দামি ফার্নিচারে সাজানো হিজিবিজি ঘরের চেয়ে হালকা ফার্নিচারে সাজানো ঘরই মানুষ বেশি পছন্দ করেন এমনটাই জানিয়েছেন গিবসন।

৪. রং পরিবর্তনের আগে পরীক্ষা করে দেখুন!

সম্পূর্ণ ঘর রং করার পর দেখা গেল, ঠিক যা চাচ্ছিলেন তা পাননি। এ বিষয়ে গিবসনের পরামর্শ হচ্ছে, পুরো ঘরে রং করার আগে, যে রং ব্যবহার করতে চাচ্ছেন, প্রথমে সে রংটি ঘরের কোনও একটি কোণায় প্রয়োগ করে দেখুন যে সেটি আদতেও ঘরের চেহারা পাল্টাতে সহযোগিতা করছে কিনা। এতে করে একদিকে যেমন আপনার খরচ বাঁচবে, অন্যদিকে আপনিও বুঝতে পারবেন, আদতে ঠিক কোন রংটি আপনার ঘরের সৌন্দর্য্য ফুঁটিয়ে তুলতে সহযোগিতা করবে।

৫. ডিজাইনের সময় মূল্যের ব্যাপারে মাথা ঘামাবেন না

সুন্দর ঘরের ডিজাইন মানে এই নয় যে, আপনার ঘরের যা ব্যবহার করবেন, সেগুলোর সবকিছুই দামি হতে হবে। এ বিষয়ে গিবসনের পরামর্শ হচ্ছে, রূচিশীল স্বল্প মূল্যের পণ্য এবং দামি মূল্যের পণ্যের মিশ্রণে ঘর সাজান। এতে করে আপনার ঘরটিতে যে অতিথিরা আসবেন, তারা এক ধরণের ইতিবাচক অনুভূতী অনুভব করবেন। পাশপাশি এটি আপনার ঘরে সাজানোর খরচও অনেকটাই কমিয়ে আনবে।

৬. মেঝে থেকে শুরু করুন

ঘর ডিজাইনের কাজটি মোটেও সহজ কোনও কাজ নয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, ঘরের ঠিক কোন অংশটি থেকে ডিজাইন শুরু করবেন, সে বিষয়টি ঠিক করে উঠতে পারছেন না। এক্ষেত্রে গিবসনের পরামর্শ হচ্ছে, ডিজাইন মেঝে থেকে শুরু করার। চিন্তা করুন আপনার মেঝে কী ঢাকা থাকবে নাকি খোলা রাখবেন। খোলা রাখলে মেঝের ডিজাইনটি কেমন রাখবেন? একবার মেঝের ডিজাইনের কাজ শেষ হয়ে গেলে, নিজেই বুঝতে পারবেন ঠিক কোন জিনিসগুলো ঘরের ডিজাইনে ব্যবহার করলে তা ফুটে উঠবে। 

এ ছাড়াও বাড়তি পরামর্শ হিসেবে গিবসন জানিয়েছেন, ঘরের ডিজাইনের ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো না করার। সময় নিয়ে কাজটি শেষ করুন। এতে আখেরে আপনিই লাভবান হবেন। কারণ স্বল্প সময়ে ডিজাইনের কাজ শেষ করলে দেখবেন, আরও অনেক কিছুই করা যেত যা বাদ পড়ে গেছে। কিন্তু, সময় নিয়ে ডিজাইনের কাজটি করলে এমনটি হওয়ার আশঙ্কা কম। আর চেষ্টা করবেন, এমনভাবে ডিজাইন করতে যাতে মোটামুটি একটি দীর্ঘসময়ের জন্য আর ডিজাইনের কাজে হাত না দিতে হয়।