ঘি খাবেন নাকি মাখন?

পরোটা কিংবা রুটির সঙ্গে ঘি অথবা মাখন মেখে খাওয়া যেমন মুখরোচক, তেমনি স্বাস্থ্যকরও।  ঘি নাকি মাখন, কোনটা বেশি ভালো? একেকজনের পছন্দ একেকরকম। তবে স্বাস্থ্য ও পুষ্টির কথা যদি ভাবেন, তবে জেনে নিন কোনটা থেকে কেমন পুষ্টি পাওয়া যায়। 

ghee-clarified-butter-1000x500 ঘি
মানব দেহের পরিপাকতন্ত্র ভালো রাখতে সাহায্য করে ঘি। এতে আছে উপকারি ফ্যাট যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। শরীরের ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে ও খারাপ কোলেস্টেরল কমাতেও ভূমিকা রাখে ঘি।
মাখন
মূলত গরুর দুধ থেকে যে মাখন তৈরি করা হয়, তা খুব স্বাস্থ্যকর। তবে বাজারে যে মাখন পাওয়া যায়, তা প্রক্রিয়াজাত দুধ থেকে তৈরি হয়, এতে থাকে লবণ।
পুষ্টি তুলনা
ঘি অপ্রক্রিয়াজাত ফ্যাট,  এতে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিন এ থাকে। অন্যদিকে, প্রক্রিয়াজাত মাখনে শুধু ভিটামিন এ থাকে। প্রতি ১০০ গ্রাম ঘি থীক পাওয়া যায় ৯০০ কিলো ক্যালরি। এতে কোনও ট্রান্স ফ্যাট বা কৃত্রিম চর্বি থাকে না, ৬০ শতাংশ স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। অন্যদিকে, ১০০ গ্রাম মাখনে থাকে ৭১৭ কিলো ক্যালরি। এতে ৩ গ্রাম ট্রান্সফ্যাট ও ৫১ শতাংশ স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। 
কোনটি ভালো?
পরোটা, রুটির সাথে ও হালুয়া তৈরিতে মূলত ঘি ব্যবহৃত হয়। পরোটা ফ্রাই করার ক্ষেত্রে ঘি ব্যবহার করাই উত্তম। কারণ মাখনের তুলনায় এর স্মোকিং পয়েন্ট (যে আদর্শ পরিস্থিতিতে কোনও কিছু ভালোভাবে ফ্রাই হয়) বেশি।
মনে রাখতে হবে
ঘি কিনতে হলে খাঁটি ঘি বেছে নেওয়ার চেষ্টা করুন। আর ভেজিটেবল ঘি লেবেল দেওয়া ঘি কেনা উচিত নয়। কারণ এতে অনেক পুষ্টিগুণই থাকে না। 
যেভাবে সংরক্ষণ করবেন
ঘরে তৈরি ঘি বোতল বা কন্টেইনারের মুখ ভালোভাবে আটকে রুমের স্বাভাবিক তাপমাত্রাতেই রাখা যাবে তিন মাসের মতো। এক্ষেত্রে সূর্যের আলো থেকে দূরে রাখতে হবে । আর মাখন বছরের প্রায় সব সময়েই ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে হয়।

তথ্যসূত্র: টাইমস অ ইন্ডিয়া