মেলায় অংশ নেওয়া প্রতিটি পণ্য বাংলাদেশি শিল্পীদের হাতে তৈরি। স্থানীয়ভাবে তৈরি কারুপণ্য প্রচার এবং প্রসারের এটি দ্বিতীয় উদ্যোগ। আয়োজকরা আশা করছেন গত বছরের মতো এবারও অতিথিদের ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাবে। দা জংশনের ব্যবস্থাপক মেহরিন রহমান জানান, ‘আমরা গো দেশির মতো একটা আয়োজন করতে পেরে খুব আনন্দিত। দেশি ডিজাইনার, কারিগরদের কাজকে তুলে ধরা এবং মানসম্পন্ন দেশীয় পণ্য সবার কাছে পৌছে দেওয়াই আমাদের মূল উদ্দেশ্য।’
মেলায থাকছে, প্রাকৃতিক রং ব্যবহার করা দেশি শাড়ি, হাতে তৈরি তৈজসপত্র, ব্লক - বাটিকের কাজ করা কাপড়, গহনা, হাতে করা সূচিকর্ম, অর্গানিক খাবার, বই, রিকশা পেইন্ট, হ্যান্ডিক্রফটস, চামড়াজাত দ্রব্যাদি, পাটের তৈরি দ্রব্যাদি ইত্যাদি।
এছাড়া আয়োজনের তিনদিনব্যাপী আগত অতিথিদের জন্য থাকছে বিশেষ র্যাফেল ড্র। মেলা থেকে সংগ্রহ করা ২০ টিরও বেশি উপহার সামগ্রী থাকছে এই র্যাফেল ড্রতে পুরস্কার হিসেবে। মেলার শেষদিন সন্ধ্যা ৭ টায় দা জংশন প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হবে এই ড্র।
দা জংশন একটি উন্মুক্ত স্থান, যেখানে সৃজনশীল মানুষজনের সঙ্গে শিল্প-সাহিত্যানুরাগীদের সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন তৈরি হয়। ঢাকার গুলশানের নিকেতনে ৮ নং সড়কে ৬৬ নম্বর বাড়িতে অবস্থিত এই জায়গাটি- সংগীত, নাচ, থিয়েটার, চলচ্চিত্র, ওপেন মাইক, রিহার্সল, বই এর মোড়ক উন্মোচন, বই ক্লাব মিটিং, প্রদর্শনী, আর্ট ক্লাস ইত্যাদি আয়োজন করে থাকে। এছাড়া সেমিনার এবং কর্মশালা, রিহার্সল, সাংবাদিক সন্মেলনের মতো আয়োজন এখানে হয়ে থাকে। এসব পারফরম্যান্সের সাহায্যে দা জংশন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রচার করে থাকে।