ডিম নিয়ে যত ভুল

sunny-side-up-eggs-heroডিম হচ্ছে আমিষের (প্রোটিন) সস্তা এবং সুলভ উৎস। ডিম যেন ৬.৩ গ্রাম আমিষ, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি২ (রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি১২, ভিটামিন ডি, জিংক, আয়রন এবং কপারের একটি পরিপূর্ণ প্যাকেট। ডিম হতে পারে একটি চমৎকার এবং স্বাস্থ্যসম্মত ব্রেকফাস্টের উপাদান। কিন্তু এত পুষ্টিকর হওয়ার পরেও জনশ্রুতি রয়েছে যে ডিম নাকি ততোটা স্বাস্থ্যকর নয়। চলুন ডিম নিয়ে ৬টি ভ্রান্ত ধারণার অবসান হোক...

১. ডিমের কারণে হতে পারে ফুসকুড়ি এবং ব্রণ: মোটেই না, আপনি যদি ডিমের প্রতি সংবেদনশীল বা এলার্জিক না হয়ে থাকেন তাহলে ডিমের কারণে ফুসকুড়ি (পিম্পল) বা ব্রণ হবার কোনো সম্ভাবনা নেই। আপনি যদি ভেবে থাকেন ডিমের কারণেই আপনার ফুসকুড়ি বা ব্রণ হয় তাহলে নিশ্চিত হতে খাদ্যের প্রতি সংবেদনশীলতার পরীক্ষা (ফুড এলার্জি টেস্ট) করে দেখতে পারেন যে ডিম আদৌ আপনার ত্বকে কোনো প্রভাব ফেলছে কিনা।

২. ডিম কিডনির ক্ষতি করতে পারে: অনেকে মনে করেন যে ডিম বেশি খাওয়ার ফলে ডিমের সাদা অংশ কিডনির ক্ষতি করতে পারে। কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ বিপরীত। আমিষ (ডিমের সাদা অংশে আমিষ থাকে) কিডনিকে সুরক্ষিত রাখে।

৩. ডিম শুধুমাত্র ফিটনেস ভালো রাখার জন্য রোগীর পথ্য: ডিম ১ বছরের বাচ্চা থেকে ৬০ বছরের বৃদ্ধ যে কেউ খেতে পারেন।

৪. ডিম খাওয়ার একটি সীমা আছে: ডিম খেতে কোনো সীমা নেই, এটা আপনার শরীরের চর্বি এবং আমিষের চাহিদার উপর নির্ভর করে। কিন্তু অবশ্যই মনে রাখতে হবে, অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালোনা।

৫. ডিমের কুসুম অস্বাস্থ্যকর: যদিও এটি সত্য যে ডিমের কুসুমে বেশি চর্বি এবং আমিষ থাকে, কিন্তু যদি সংযত ভাবে খাওয়া হয় তাহলে তারা ক্ষতিকর নয়।

৬. ডিম ফ্রিজে রাখা প্রয়োজন: এটি নির্ভর করে আপনি কোন দেশে বাস করেন তার উপর। আমেরিকান ডিম ঠান্ডায় রাখা উচিত কিন্তু অন্য দেশে ডিম কক্ষ তাপমাত্রায় বেশ কিছুদিন রাখা যেতে পারে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।