প্রথম রোজাতেই জমজমাট চকবাজার (ফটোফিচার)

আজ প্রথম রোজার দিন জোহরের নামাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ক্রেতাদের আনাগোনা লক্ষ করা গেল ঐতিহ্যবাহী ইফতার বাজারে। বিকাল নামার আগের পুরান ঢাকার চকবাজার মুখরিত হয়ে উঠলো বিক্রেতাদের হাঁকডাকে। দুপুরের আগ থেকেই বড় বাপের পোলায় খায়, আস্ত মুরগির রোস্ট, সুতি কাবাব, জালি কাবাব, আস্ত কোয়েলের রোস্ট, কিমা পরোটা, মাঠা, শাহি জিলাপিসহ হরেক রকম ভাজাপোড়ার পসরা সাজিয়ে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে ইফতার বিক্রেতারা বসেছেন চকবাজারে। ভোজনপ্রিয়রা দলে দলে ভিড় জমাচ্ছেন এখানে। যদিও এসব খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়! ছবিতে দেখুন চকবাজারের রকমারি ইফতার।  

চকবাজারের ইফতার

আজ মঙ্গলবার (৭ মে)প্রথম রোজার দিনে সরেজমিন চকবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিপুল পরিমাণ ইফতার সামগ্রীকে ঘিরে কেনাকাটায় ব্যস্ত ক্রেতারা। ক্রেতাদের এতই ভিড় যে হাঁটাও দায়। রোজদাররা ঘুরে ঘুরে পছন্দের ইফতার ক্রয় করছেন।

বড় বাপের পোলায় খায়

দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,চকবাজারের ইফতার সামগ্রীগুলোর মধ্যে পনির সমুচা ১৫ টাকা; কিমা সমুচা ২০ টাকা; সিঙ্গারা ১০ টাকা; চিকেন সমুচা ২০ টাকা; কিমা পুরি ২০ টাকা; ভেজি রোল ২৫ টাকা; আলুর কচুরী প্রতি পিস ১০ টাকা; পিয়াজু ১০ টাকা; বেগুনী ১০ টাকা; শাক ফুলুরী পাকোড়া ১০ টাকা; ভেজি পাকোড়া ২০ টাকা; আলুর চপ ১০ টাকা; ডিম চপ ২০ টাকা; কিমা চপ ২০ টাকা; টিক্কা কাবাব ৩০ টাকা; সামি কাবাব ৪০ টাকা; চাপলি কাবাব ৫০ টাকা; নার্গিস কাবাব ৫০ টাকা; চিকেন ফ্রাই ৬০ টাকা; চিকেন গ্রেভি (১/৪) ১০০ টাকা; চিকেন টিক্কা তান্দুরি (১/৪) ১০০ টাকা; চিকেন ড্রামস্টিক ৫০ টাকা; চিকেন সাসলিক ৬০ টাকা; চিকেন কাটলেট ৬০ টাকা; মিনি ক্লাব স্যান্ডউইচ ৩৫ টাকা; চিকেন ভেজি রোল ৩৫ টাকা; চিকেন নান মিনি ৩০টাকা; চিকেন শর্মা ৬০ টাকা; চিকেন কোফতা ৫০ টাকা; মনতারা ৪০ টাকা; চিকেন মিটলোফ ৬০ টাকা; পিকনিক বন ৫০ টাকা; প্লেন পরোটা ৩০ টাকা; পনির পরোটা ৬০ টাকা; কিমা পরোটা ৬০ টাকা; শাহী পরোটা প্রতি কেজি ৩০০,৬০০ ও ১০০০ টাকা; দই বড়া বাটি ১২০-২৪০ টাকা; ফিরনি বাটি ১৫০-৩০০ টাকা; মিষ্টি দই কেজি ৩০০ টাকা; প্লেন দই কেজি ২০০ টাকা; শাহী জিলাপী কেজি ১৬০ টাকা; ঘিয়ের জিলাপি কেজি ৩০০ টাকা; রেশমী জিলাপি কেজি ৫০০ টাকা; চানা মাসলা প্রতি কেজি ৩০০ টাকা; নিমক পারা প্রতি কেজি ২০০ টাকা; শাহী টুকরা প্রতি বাক্স ১৫০-৩০০ টাকা; আমিত্তি প্রতি কেজি ৩০০ টাকা; মালাই প্রতি কেজি ৮০০ টাকা; রস মালাই প্রতি কেজি ৪০০ টাকা; শাহী হালিম (বিফ) প্রতি হাঁড়ি ২৫০, ৫০০ ও ১০০০ টাকা; চিকেন মোমো প্রতি বাক্স ১৫০ ও ২৮০ টাকা; মুরগি মোসাল্লাম আস্ত প্রতি পিস ৩৫০ টাকা; সুতি কাবাব (বিফ) প্রতি কেজি ১২০০ টাকা; লাবান ৮০ ও ১৫০ টাকা এবং জাফরানি শরবত ১৫০ ও ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।  

পরোটা ও মুরগির মাংস

চকবাজারে ১৭ বছর ধরে ইফতারিসামগ্রী বিক্রি করছেন শাহনাজ পারভেজ। তিনি বলেন, প্রতিবছর ইফতারের বাজারে তিনিসহ অন্য দোকানিরা নতুন নতুন আইটেম যুক্ত করছেন। রোজাদারদের চাহিদার ওপর ভিত্তি করে তারা এসব ইফতার সামগ্রী তৈরি করছেন। দামও যাতে ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে থাকে সেদিকেও তারা নজর রাখছেন।

আস্ত মুরগির রোস্ট

 

আস্ত কোয়েলের রোস্ট

চলছে ইফতার বেচাকেনা

শাহি জিলাপি

ফালুদা

রোস্ট

কিমা পরোটা

দুপুর থেকেই শুরু হয়েছে বিক্রি

দইবড়া

ফল

ভাজাপোড়া

এদিকে মঙ্গলবার বিকেলে চকবাজারের ইফতারের দোকানগুলো পরিদর্শনে আসেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। এসময় তিনি ইফতারসহ খাদ্যে ভেজাল দিলে বিক্রেতাদেরকে জেল-জরিমানার হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, রমজানে ইফতার ও খাদ্যে ভেজাল নিয়ন্ত্রণে ডিএসসিসির পাঁচটি টিম কাজ করবে।