সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে ‘সম্ভাবনা’র ঈদ উৎসব

ঈদের আনন্দ তো শিশুদের জন্যই। কিন্তু আমাদের চারপাশে এমন অনেক সুবিধাবঞ্চিত শিশু আছে যাদের ঈদ কাটে জরাজীর্ণ পুরাতন পোশাকে। এসব পথশিশুদের কাছে প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদের উপহার পৌঁছে দিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সম্ভাবনা।’

Subidhabonchito shishuder Eid Utsob (5)
গতকাল বুধবার (২৯ মে)  মিরপুরের একটি কমিউনিটি হলে দুইশতাধিক শিশু নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় ‘পুষ্পকলির ঈদ উৎসব ও ইফতার আয়োজন।’ এ আয়োজনে ‘সম্ভাবনা’ পরিচালিত পুষ্পকলি স্কুলের ধানমন্ডি, মিরপুর ও কালসি শাখার ২০০ জন সুবিধা বঞ্চিত শিশুর সাথে একই কাতারে ইফতার করেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ।
আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন সম্ভাবনার প্রধান পৃষ্ঠপোষক বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, স্টান্ডার্ড গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ তোফাজ্জল আলী, ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক উদয় হাকিম, অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর মিলটন আহমেদ, সামিট গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজার রাহাদ হোসাইন, নারী উদ্যোক্তা হাসিনা মুক্তা, হাসিনা জান্নাত ছাকি, ইসরাত জাহান, রেশমা জাহান, প্রীতি ইসলাম পারভিন, সম্ভাবনার সভাপতি রবিউল ইসলাম রবিন, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, কোষাধাক্ষ্য আল আমিন হোসাইন, সংগঠনিক সম্পাদক মুশফিকা নিশাতসহ সম্ভাবনার স্বেচ্ছাসেবীরা।
স্টান্ডার্ড গ্রুপে, আকিজ গ্রুপ ও ওয়াল্টন গ্রুপের সহয়তায় অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে শিশুদের মাঝে বিতরণ করা হয় নতুন পোশাক, সেমাই, চিনি, দুধ, পোলাওয়ের চাল ও কিসমিস।

Subidhabonchito shishuder Eid Utsob (1)
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে ১১ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সম্ভাবনা।’ ‘বঞ্চিত শিশু ও আগামীর সম্ভাবনা’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে পথশিশুদের নিয়ে সম্ভাবনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সংগঠনটি পথশিশুদের জন্য রাজধানীর মিরপুরের শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে পুস্পকলি স্কুলের মাধ্যমে চালাচ্ছে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম। যেখানে শিশুদের সাধারণ শিক্ষা কর্যক্রমের পাশাপাশি নৈতিক ও কর্মমুখী শিক্ষা প্রদান করা হয়। এছাড়া এবছর কালসির গুদারাঘাট বস্তিতে ৯০ জন সুবিধাবঞ্চিত শিশু নিয়ে চলছে পুস্পকলি স্কুলের আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম। পুষ্পকলি স্কুলের তিনটি শাখায় প্রায় ২০০ জন পথশিশুর পাঠদান করা হয়। এছাড়া সম্পূরক শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ১০ জন শিক্ষার্থীর লেখাপড়া খরচ, শিক্ষা উপকরণ এবং টিউশন প্রদান করা হয়। যেহেতু পরিবারের চাপেই শিশুরা স্কুল ছেড়ে কাজে চলে যায় এবং ভিক্ষা বৃত্তিতে নিয়োজিত হয় তাই সুবিধাবঞ্চিত শিশুর মায়েদের স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তুলতে ‘অনিন্দিত নারী’ নামে কর্মসূচি পরিচালনা করছে সংগঠনটি।