মসলার দামে লাগেনি ঈদের আমেজ

ঈদ এলেই নিত্যপ্রয়োজনীয় নানা দ্রব্যমূল্যের উচ্চগতিতে নাগরিক জীবন হাঁপিয়ে ওঠে। তবে রাজধানীর কাওরানবাজারে মসলার বেশ কিছু দোকান ঘুরে এবং মসলার মূল্য পর্যবেক্ষণ করে জানা গেছে, মসলার বাজার এবার ঈদের আগে নতুন করে চড়া হয়নি।

1

দেশি-বিদেশি নানা জাতের মসলা আছে বাজারে। পেঁয়াজ, রসুন এবং আদা বহুল ব্যবহৃত মসলা। বর্তমানে বাজারে দেশি থেকে বিদেশি পেঁয়াজ, রসুনের চাহিদা বেশি। তবে গরম মসলার চাহিদা সম্পর্কে জানতে চাইলে দোকানিরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। কারো মতে বাজারে বিদেশি গরম মসলার চাহিদা বেশি, কেউ বলেন দেশি। আবার কেউ কেউ বলছেন, বাজারের সকল গরম মসলাই বিদেশি, দেশি মসলা নেই বললেই চলে।

কাওরানবাজারের শরীয়তপুর এন্টারপ্রাইজের দোকানি আকতার হোসেন জানান, সবসময়ের মতো পেঁয়াজ, রসুন, আদা এবং গোলমরিচের বিক্রি সবচেয়ে বেশি। তবে ঈদের আগে সেমাইয়ে ব্যবহৃত মসলা বিক্রি হচ্ছে বেশি। পাইকারি এবং খুচরা বাজারে তুলনামূলকভাবে বেশি বিক্রি হচ্ছে এলাচ, লবঙ্গ, দারুচিনি ও জিরা।
হোসেন মিয়া নামের আরেকজন দোকানির বক্তব্য অনুযায়ী, সার্বিকভাবে কাওরানবাজারে মসলার বিক্রি ঈদের কারণে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে কেজিপ্রতি এলাচ ২ হাজার ৩০০ টাকা, দারুচিনি ৩৬০ টাকা, লবঙ্গ ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গোলমরিচ ৮০০ টাকা, আলুবোখারা ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, তেজপাতা ২০০ টাকা ও কিশমিশ ৪৮০ টাকা দরে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।