যেভাবে এলো বন্ধু দিবস

friendship dayবেশিরভাগ দিবসের পেছনেই থাকে মর্মস্পর্শী কাহিনী। মজার ব্যাপার হচ্ছে, বন্ধু দিবস প্রতিষ্ঠা হওয়ার পেছনে নেই কোনও অমর বন্ধুত্বের উপাখ্যান। সম্পূর্ণ ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য থেকেই বন্ধু দিবসের প্রচলন শুরু হয়। বিশ্বখ্যাত কার্ড ও উপহারসামগ্রী বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান হলমার্কের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা জয়েস হল কার্ড বিক্রির জন্য দিনটি সামনে আনেন। এটি ১৯৩০ সালের কথা। প্রতি বছর আগস্টের ২ তারিখ যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধু দিবস উদযাপন শুরু হয়। কার্ড বিক্রি কয়েক বছর ভালো হলেই ধীরে ধীরে মানুষ এই দিবসের পেছনের ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য বুঝতে পারে। তবে যুক্তরাষ্ট্রে এ দিবস পালন এক প্রকার থেমে গেলেও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে শুরু হয় বন্ধু দিবসের প্রচলন। তবে সেটাও খুব বেশি আলোড়ন তোলেনি। এক এক দেশে এক এক সময় পালিত হতে থাকে দিবসটি।
আন্তর্জাতিকভাবে দিবসটি পালনের প্রথম উদ্যোক্তা হিসেবে ধরা হয় প্যারাগুয়ের চিকিৎসক ঋমান আর্থেমিও ব্রেচকে। ১৯৫৮ সালের ২০ জুলাই বন্ধুদের নিয়ে নৈশভোজে বন্ধু দিবস পালনের প্রস্তাব তোলেন। সে রাতেই বিশ্বব্যাপী বন্ধুত্বের ঐক্য ছড়িয়ে দিতে ঘোষণা করা হয় ‘ওয়ার্ল্ড ফ্রেন্ডশিপ ক্রুসেড।’
পরবর্তীতে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান ৩০ জুলাইকে বন্ধু দিবস ঘোষণা করেন। তবে জাতিসংঘ এদিন বন্ধু দিবস পালন করলেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আগস্টের প্রথম রবিবার বন্ধু দিবস হিসেবে পালিত হয়।
তথ্য: উইকিপিডিয়া, ইন্ডিয়া টুডে