শহরে চলবে ‘নগরনামা’

nogornama_1920 (1)ঢাকায় শুরু হতে যাচ্ছে বসবাসের ভবিষ্য নিয়ে বিশেষ প্রদর্শনী ‘নগরনামা’। ২ নভেম্বর থেকে বেঙ্গল শিল্পালয়ের কামরুল হাসান প্রদর্শনশালায় শুরু হবে এই প্রদর্শনী। এটি চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত।

বেঙ্গল ইনস্টিটিউট দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল ও শহর নিয়ে গবেষণা করেছে এবং গবেষণালব্ধ, সুচিন্তিত বসবাসের প্রস্তাবনা ও উদাহরণ তৈরি করেছে। বিগত বছরগুলোতে বিভাগীয় শহরসহ বেশ কয়েকটি ছোট শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানের পরিকল্পনা ও নকশা তৈরি করা হয়েছে। তাছাড়া দেশ ও বিদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের পরিচালনায় উচ্চমানের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়েছে।

এই ইনস্টিটিউটের উল্লেখযোগ্য কাজ নিয়েই হবে এই আয়োজন। ১ নভেম্বর এই প্রদর্শনীটির উদ্বোধন করবেন মাননীয় সংসদ সদস্য ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা জনাব সালমান এফ রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের  মাননীয় মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভী ও বিশিষ্ট স্থপতি ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক শামসুল ওয়ারেস।

সাধারণ দর্শকদের জন্য রবিবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে এই প্রদর্শনী।

প্রদর্শনীর আয়োজকরা জানান, আমাদের আগামীর চ্যালেঞ্জগুলো হবে পরিবেশ নিয়ে। শহর-নগরের বিস্তার তার মধ্যে অন্যতম। আগামীর নগর-চরিত্র কেমন হবে? গ্রামগুলো পরিবর্তিত হয়ে কী রকম রূপ নেবে? গ্রাম ও নগরের মিলনে কী অন্য রকম জনপদ তৈরি হবে?

নদী-নালা, খাল-বিল, জলাভূমি, ধানি জমি- এসব নিয়েই হবে নতুন জনপদ, নতুন নগরবিন্যাস। বাংলাদেশের অবারিত উর্বর জমি ও অন্যান্য জল-ভৌগোলিক উপাদানগুলো চিন্তা করলে এটা অবশ্যম্ভাবী। বাংলাদেশই পৃথিবীকে দেখাতে পারে, এ বৈশিষ্ট্যগুলো মেনে, জল-আবহাওয়ার পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে কী রকম অভিনব এবং মানবিক জনপদ নির্মাণ করা যায়।

নদী-নালা, খাল-বিল শুধু নৈসর্গিক শোভা নয়, এগুলো ইকোলজিক্যাল সম্পদ; খাদ্য, পানি ও জীবনের সম্ভার। শহর ও জনপদ তো গড়বই, কিন্তু আমরা কি কৃষি ও জলাভূমি বিনষ্ট করে নাগরিক হব? নতুন নগর রচিত হবে নতুন জনপদ ইকোলজিক্যাল ও মানবিক ধারায়।