সম্পর্ক শেষ করার কথা কখন ভাববেন?


যেকোনও সম্পর্কেই চড়াই উতরাই থাকে। হোক তা প্রেমের বা বন্ধুত্বের। কারোর সাথে কখন সম্পর্কটা আর এগিয়ে নেওয়া যায় না, তা বোঝার কিছু আভাসও পাওয়া যায়। কাউকে শুধু ভালোবাসলেই একটি সুস্থ, সুন্দর সম্পর্ক গড়ে উঠবে- এমনটি নয়। বরং ভালোবাসার সাথে পারস্পরিক বোঝাপড়া, ত্যাগ স্বীকার ও মানিয়ে চলার ব্যাপারগুলোও কিন্তু জড়িত। পার্টনারের সাথে ব্রেকআপ হওয়ার সময়টা খুব কষ্টকর, তবে একটি বিষময় সম্পর্কে দীর্ঘদিন আটকে না থেকে বরং তা থেকে বেরিয়ে খোলা মনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলা খুব জরুরি। অনেক সময় বিভিন্ন কারণে ভালোবাসার সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে। জেনে নিন কখন বুঝবেন সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় হয়েছে।

images

যোগোযোগে ঘাটতি
একটি সফল সম্পর্কের ক্ষেত্রে যোগাযোগ খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি ও আপনার পার্টনারের মধ্যে অর্থবহ যোগাযোগ না থাকে, তাহলে বুঝবেন সময় হয়েছে একে অপরকে বিদায় জানানোর।
বিশ্বাস করতে না পারলে
আপনার প্রেমিক তার স্কুলের বন্ধুদের নিয়ে বেড়াতে গেলে কি তাকে বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়? আপনার পার্টনার কি সন্দেহবশত সবসময় আপনার মোবাইল ফোন বা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট চেক করে? তাহলে সম্পর্কে বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে যাচ্ছে, এ নিয়ে ভাবতে হবে আপনাকে। যেকোনও সম্পর্কের ক্ষেত্রেই বিশ্বাস হলো প্রাণশক্তি, এটি ছাড়া কোনও সম্পর্কই এগুতে পারে না।
আপনার প্রতি মনোযোগ নেই
ভালোবাসার মানুষের কাছ থেকে সবসময় মনোযোগ পাওয়া একটা স্বাভাবিক প্রত্যাশা। তবে যদি পার্টনার আপনার ব্যাপারে মনোযোগী না থাকেন, তাহলে তা দুঃখজনক। তিনি বা আপনি যদি অন্য কারো মনোযোগ পেতে চান, তাহলে বুঝতে হবে আপনাদের ভালোবাসার সম্পর্কটা শেষের দিকে।
আপনার ব্যক্তিগত বিষয়ে তিনি নেই
দুজনের ভালোবাসার সম্পর্কে একে অপরের ব্যক্তিগত ঘটনা শেয়ার করবেন, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আপনার কোনও ব্যক্তিগত বিষয়ে যদি পার্টনারের কোনও আগ্রহ না থাকে, তাহলে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার ব্যাপারে তা এক অশনি সংকেত।
তার স্বজনদের চেনেন না আপনি
ভালোবাসার সম্পর্কে প্রাথমিক অবস্থায় প্রেমিক বা প্রেমিকার আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধুদের আপনি হয়তো নাও চিনতে পারেন। কিন্তু সম্পর্কটা দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলে তখনও যদি পার্টনার তার কোনও স্বজন বা বন্ধুর সাথে আপনাকে পরিচয় করিয়ে না দেয়, তাহলে সময় হয়েছে তার কাছ থেকে দূরে সরে আসার।
তথ্য: টাইমস অন ইন্ডিয়া