বার্ধক্যে চাই যেসব খাবার

বার্ধক্যে যেহেতু শারীরিক পরিশ্রম কমে যায়, সেহেতু কমে যায় পুষ্টি ও খাদ্য চাহিদাও। তবে খাদ্য তালিকা হওয়া উচিৎ সুষম। অর্থাৎ শর্করা, চর্বি, খনিজ লবণ, ভিটামিন ও পানির আনুপাতিক হার যেন ভারসাম্যপূর্ণ হয়।

৫০ থেকে সাধারণত শুরু হয় বার্ধক্য। এই সময় খাবার হজম করা কষ্টকর হয়ে পড়ে। এসব কারণে খাবার হতে হবে সহজপাচ্য ও মসলামুক্ত। এ বয়সে অনেকের দাঁতের সমস্যার কারণে খাবার খেতে অসুবিধা হয়। যাদের চিবিয়ে খেতে সমস্যা হয় তারা নরম ও তরল খাবার খেতে পারেন। সবজি ও মাংসের স্যুপ হতে পারে পুষ্টিকর খাবার। 

বার্ধক্যে কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়া উচিৎ। এজন্য খাবারে স্নেহ, শর্করা ও প্রোটিনের পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে। ঘি, মাখন, এবং চর্বিজাতীয় ও ভাজাপোড়া খাবার বাদ দিতে হবে। পাশাপাশি প্রচুর পানি পান করতে হবে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।

স্যুপ রাখতে পারেন খাবার তালিকায়

প্রতিদিন নিয়ম করে কিছু ব্যায়াম করতে হবে এবং হাঁটার অভ্যাস হতে হবে। শর্করাজাতীয় খাবারের প্রতি আগ্রহ কমাতে হবে। উৎকৃষ্ট মানের প্রোটিন হলো দুধ। দুধ আমিষ ছাড়াও ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে থাকে। এসময় লৌহের অভাব দেখা দিতে পারে। তাই খাদ্য তালিকায় কলিজা রাখুন। সবজির মধ্যে কচু শাক, পালং শাক, লাল শাক ইত্যাদি রাখতে হবে। এছাড়াও ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে প্রচুর পরিমাণে।
আগেই বলেছি বয়স্কদের খাবার হবে সহজপাচ্য। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা হতে হবে খুবই সহজ এবং হজমযোগ্য।