রোগ প্রতিরোধক খাবার যত

foodরোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে সহজেই যেকোনও রোগ আপনাকে আক্রান্ত করতে পারে। সারাবিশ্ব প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে ভুগছে। ছড়িয়েছে বিশ্বের ১৭৪টির মতো বেশি দেশ ও অঞ্চলে। করোনার ভয়াল থাবা থেকে বাংলাদেশে মুক্ত নয়। প্রায় ৪০ জনের মতো রোগী পাওয়া গেছে এই পর্যন্ত।

এমন অবস্থায় আমাদের ইমিউনিটি ধরে রাখতে তথা রোগ প্রতিরোধ করতে আমরা রোগ প্রতিরোধক খাবারগুলো গ্রহণ করতে পারি। আপনার একটু সর্তকতা বা সচেতনতা পারবে আমাদের যেকোনো রোগ থেকে প্রতিরোধ করতে। জেনে নিন রোগ প্রতিরোধক খাবারগুলো...

পালং শাক: পালং শাকে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও আয়রন। এটি এমন একটি উপাদান যা রক্তস্বল্পতা দূর করে পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধক বৃদ্ধির জন্য ও জরুরি।

টক দই: টক দইয়ে থাকে অগণিত উপকারী ব্যাকটেরিয়া, তাই দই আপনার রোগ প্রতিরোধ করে আপনাকে রাখবে কর্মক্ষম।

গ্রিন টি: চায়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিশেষভাবে সমাদৃত এই চা আপনাকে চাঙ্গা রাখবে।

ব্রকলি: ব্রকলি থেকে আপনি পেতে পারেন প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।

আদা: আদায় উপস্থিত ভিটামিন সি এবং ঠাণ্ডার সমস্যা দ্রুত সারিয়ে তোলে এছাড়া বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ প্রতিরোধেও আদার তুলনা হয়না।

রসুন: একে ভেষজগুণের রাজা বলা হয়। এতে রয়েছে আলিকিন, যা ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস ও ফাংগাল ইনফেকশনের বিরুদ্ধে লড়াই করে। তাই প্রতিদিন এক কোয়া রসুন আপনাকে করবে নীরোগ।

কাঠবাদাম: এতে রয়েছে ভিটামিন ই যা খুবই শক্তিশালী একটি এন্টি-অক্সিডেন্ট। ঠাণ্ডাজনিত কাশি ও বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে শরীরের ইমিউনিটি বাড়িয়ে তোলে।

লেবু জাতীয় ফল: ভিটামিন সি সব ধরনের রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে থাকে। একটি বিশেষ ধরনের এন্টিঅক্সিডেন্ট যেমন কমলা, মাল্টা, লেবু ,জাম্বুরা ,আমলকি ইত্যাদি।

সজনে ডাঁটা ও সজনে ফুল: ভাইরাস ঠেকাতে সক্ষম সজনে ডাঁটা ও এর ফুলপাতা। প্রতিদিন খাবার তালিকায় রাখতে পারেন সহজলভ্য এই সবজিটি।

ডিম ও দুধ: ডিম ও দুধকে আদর্শ খাদ্য হিসেবে ধরা হয়। কারণ খাদ্যের প্রতিটি উপাদানই এ দুটো খাবার থেকে আমরা পেয়ে থাকি। যা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করবে ও শরীরকে করবে শক্তিশালী।

ঘি ও মধু: ঘি ও মধু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে এবং তারুণ্য ধরে রাখে। এছাড়াও লেবু, আদার রস, এবং মধু এক কাপ কুসুম গরম পানি দিয়ে খেতে পারেন তবে আপনার ইমিউনিটি সিস্টেম ভালো থাকবে।

প্রতিদিনে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন, সাধারণ নিয়মগুলো মেনে চলুন, যেমন প্রতিদিন ১০/১৫ মিনিট রোদে থাকুন, বাড়ির যে দরজা বা জানালা দিয়ে রোদ আসে সেখানটায় বসুন।

অ্যালকোহল বা ক্যাফেইন গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন।

লেখক: পুষ্টিবিদ।