বজায় থাকুক সুস্বাস্থ্য

কেবল বাইরে গেলেই যে বিপদ এমন নয়। খাদ্যাভ্যাস ঠিক না থাকলে ঘরে থেকেও কিন্তু অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। বিশেষ করে রোজার সময় থাকতে হবে আরও বেশি সচেতন।

ramadan-photo-18x675
চিনিযুক্ত খাবার বর্জন করুন
চিনিযুক্ত খাবার ও পানীয় ডায়াবেটিস, স্থূলতা, দাঁতের ক্ষয়ের জন্য দায়ী। এ ধরনের খাবার এরিয়ে চললেই ভালো করবেন তাই।  
সহজে হজম হয় এমন খাবার খান
ইফতার হোক কিংবা সেহরি, সহজপাচ্য খাবার রাখার চেষ্টা করুন খাবার তালিকায়। মাছ, শাকসবজি, স্যুপ, সালাদ ও ফল খেতে পারেন।
ধীরে খান
তাড়াহুড়া করবেন না খাবার খাওয়ার সময়। ধীরে ধীরে চিবিয়ে খান। এটি হজমে সহায়ক। সেহরির সময় একটু আগেই উঠুন যেন বেশি তাড়াতাড়ি খেতে না হয়।
তৈলাক্ত খাবার কমাতে চেষ্টা করুন
স্যাচুরেটেডে ফ্যাট শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দেয়। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। গবেষকরা পুরুষদের প্রতিদিন ৩০ গ্রাম ও নারীদের ২০ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট খাওয়ার পরামর্শ দেন। এ কারণে বাটার, সস, বিস্কুট জাতীয় খাবার যত কম খাবেন, ততই ভালো। এছাড়া তেলে ভাজা খাবারও এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
অতিরিক্ত লবণ খাবেন না
পরিমাণের চেয়ে বেশি লবণ বা লবণযুক্ত খাবার খেলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি থাকে। এতে স্ট্রোক বা হৃদরোগের আশঙ্কাও বাড়ে।
খাদ্যশস্য খান বেশি
ওটমিল, গমের আটা, রুটি, বাদামি চালের ভাত এসব খাবারে খাদ্যশস্যের পরিমাণ বেশি থাকে। শরীরের জন্য উপকারী আয়রন, ম্যাংগানিজ, সেলেনিয়াম ও প্রচুর পরিমানে আঁশ পাওয়া যায় এগুলো থেকে।
প্রচুর পানি পান করুন
সুস্থ থাকতে হলে প্রচুর পানি পান করতে হবে। পর্যাপ্ত পানি পান করলে শরীর থেকে টক্সিন বের হয়ে যায়। ইফতারের পর থেকে সেহরি পর্যন্ত তাই অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করা জরুরি।   
খাবার খান পরিমিত
সারাদিন রোজা রেখে ইফতারে গোগ্রাসে খাবেন না। ডাক্তাররা সব সময় পরিমিত আহারের পরামর্শ দেন।
প্রোটিন খান বেশি
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান। মাছ, মাংস, দই এগুলো রাখুন খাবার তালিকায়।
ফল ও সবজি খান
ফল ও শাকসবজি হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। এগুলো খান নিয়মিত।