টমেটোর পুষ্টিগুণ

সালাদ বানিয়ে খাওয়ার পাশাপাশি রান্না করে খেতে পারেন টমেটো। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই সবজি আপনাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে।  

www.basilgarden.net

আমেরিকার আর্কাইভ অব বায়োফিজিক্স অ্যান্ড বায়োকেমিস্ট্রির গবেষণা মতে, টমেটোতে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। যা সুস্থতার জন্য অপরিহার্য। এছাড়াও এতে ক্যালোরির পরিমাণ বেশ কম। একটি মাঝারি আকারের টমেটোতে থাকে মাত্র ২৫ ক্যালোরি। ফাইবার সমৃদ্ধ এই সবজি তাই খেতে পারেন নিশ্চিন্তে। ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-১২, ফোলেট এবং ক্রোমিয়ামও থাকে এতে।
লাইকোপেন এবং বিটা-ক্যারোটিন পাওয়া যায় টমেটো থেকে। ক্রনিক রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে এগুলো। একটি মাঝারি আকৃতির টমেটোতে থাকে ৩০০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম। ১ কাপ টমেটোর রসে যার পরিমাণ ৫৩৪ মিলিগ্রাম। হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য এবং পেশীর কার্যকলাপের সঙ্গেও সম্পর্ক রয়েছে এই সবজির।
মেডিসিনাল কেমিস্ট্রির জার্নাল অনুযায়ী, রক্ত চলাচলের ক্ষেত্রে জরুরি ভূমিকা রয়েছে লাইকোপেনের। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল) ও ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ কমায় এটি। এছাড়া টমেটোতে থাকা বিটা-ক্যারোটিন মেটাবলিক সিনড্রোমের সম্ভাবনা কমায়।
প্রস্টেট, ফুসফুস, পাকস্থলী, কোলন, রেক্টাম, খাদ্যনালী, মুখগহ্বর, স্তন, সার্ভিক্সের ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় টমেটোতে থাকা লাইকোপেন।
টমেটো খেতে পারেন প্রতিদিন, তবে প্রচুর পরিমাণে নয়। কিডনির অসুখ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে এই সবজি। ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যার ক্ষেত্রেও টমেটো খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

তথ্য: সানন্দা, হেলথ লাইন