আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে ওয়েবিনার

আজ (১০ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস। এ বছরে দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘ওয়ার্কিং টুগেদার টু প্রিভেন্ট সুইসাইড’ অর্থাৎ ‘আত্মহত্যা প্রতিরোধে একসঙ্গে কাজ করা।’

thumbnail
আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবসে ‘ফুল-পাখি-চাঁদ-নদী রিসার্চ অ্যান্ড এডভোকেসি ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটায় একটি ওয়েবিনারের আয়োজন করেছে। ওয়েবিনারের বিষয়- আত্মহত্যা প্রতিরোধসাধ্য; দরকার সর্বস্তরে সামাজিক আন্দোলন।
বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাতটা থেকে লাইভ প্রচার হওয়া এই ওয়েবিনারটিতে মূল বক্তা হিসেবে থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলোজি বিভাগের জেষ্ঠ্য অধ্যাপক ও বিপিএ প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. মাহমুদুর রহমান। তিনি কথা বলবেন আত্মহত্যা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘আত্মহত্যা প্রতিরোধসাধ্য; দরকার সর্বস্তরে সামাজিক আন্দোলন’ বিষয়ে।
বিশেষ বক্তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান ইনষ্টিটিউটের সাবেক পরিচালক ও পুষ্টিবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. খুরশীদ জাহান। তার বক্তৃতার বিষয়- আত্মহত্যা প্রবণতার ওপর শারীরিক অসুস্থতার প্রভাব। ওয়েবিনারটিতে বিশেষ বক্তা হিসেবে থাকছেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত। তিনি আলোচনা করবেন প্রচলিত আইনের আলোকে আত্মহত্যা প্রতিরোধ নিয়ে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের চেয়ারপার্সন তাওহীদা জাহান শান্তা কথা বলবেন সামাজিক প্ররোচনায় আত্মহত্যা ঘটার কারণ, প্রতিকার ও সামাজিক সচেতনতা নিয়ে।
গণমাধ্যম প্রথম আলোর হেড অব ইয়ুথ প্রোগ্রাম মুনীর হাসান বলবেন আত্মহত্যা প্রতিরোধে গণমাধ্যমের ভূমিকা ও করণীয় বিষয়ে। ক্লিনিক্যাল সাইকোলোজিস্ট ও অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব তপন কুমার নাথ বলবেন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার কারণ ও প্রতিকার বিষয়ে।
প্রসঙ্গত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৪ সালে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতি বছর বিশ্বে আট লাখেরও বেশি মানুষ আত্মহত্যা করে। সংস্থাটির মতে, প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন মানুষ আত্মহত্যা করে। প্রায় ১৫ থেকে ২০ গুণ মানুষ আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। আত্মহত্যার প্রবণতা রোধে জনসচেতনতা বাড়াতে আন্তর্জাতিক আত্মহত্যা প্রতিরোধ সংস্থা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যৌথভাবে প্রতি বছর ১০ সেপ্টেম্বর বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস পালন করে থাকে।