ঋতু পরিবর্তনে খাদ্যাভ্যাস

প্রকৃতির নিয়মে পালাবদল করে আসে প্রতিটি ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তনে আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় সময়ের পরিবর্তনের কথা। আজ আমরা ঋতু পরিবর্তনের স্বাস্থ্য সচেতনতা বা খাদ্যাভ্যাস নিয়ে আলোচনা করবো। প্রতিটি ঋতুর সাথে আমাদের খাদ্য ব্যবস্থার পরিবর্তন হয় যেন আমরা সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে জীবন-যাপন করতে পারি।

unnamed

শীতের আগমনী বার্তা আমাদের জানিয়ে দিচ্ছে প্রকৃতিতে আসছে পরিবর্তন। সকাল-সকাল বেশ ঠাণ্ডা হলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে রোদ ওঠার কারণেগরম লাগতে থাকে। এই গরম আর ঠাণ্ডা আমাদের দেহকে বেশ প্রভাবিত করে। ফলে শুরু হয় রোগবালাই। বেড়ে যায় শরীরের রোগ ব্যাধির প্রবণতা। তাই প্রয়োজন সঠিক যত্নের। রোগব্যাধি বলতে ভাইরাল ফ্লু ,সর্দি-কাশি, শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত ব্যাধি, মৌসুমি অ্যালার্জি ইত্যাদি খুব স্বাভাবিকভাবেই দেখা যায়। তাছাড়া করোনার এই ক্রান্তিকালে ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা কোনোভাবেই হেলাফেলা করা উচিত নয়। এই সময়ে সুস্থ থাকতে আমাদের কিছু বিষয় অনুসরণ করতে পারি।

১. প্রথমেই আমরা পানি দিয়ে শুরু করতে পারি। শীতকালের আবহাওয়া শুষ্ক হওয়ায় আমাদের ত্বক ফাটতে থাকে, হতে পারে নানা রকম চর্মরোগ। তাই প্রচুর পানি পান করতে হবে। এতে ত্বকের আর্দ্রতা ভালো থাকবে। এছাড়া পানীয় হিসেবে আমরা ভেষজ চা পান করতে পারি। গ্রিন টি, লেবু চা, আদা চা, পুদিনা পাতার চা ইত্যাদি আমাদের স্নায়ুকে শান্ত করবে।

২. এরপরে আসা যাক সবজিতে যেমন ফুলকপি, বাঁধাকপি, নতুন নতুন শীতকালীন সবজি, মূলা, শিম, পালং শাক, লাল শাক ইত্যাদিতে ভিটামিন ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

৩. এ সময় সুস্থ থাকতে আরও খেতে হবে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবু, জাম্বুরা, আমড়া, আমলকী, কমলালেবু ইত্যাদি। এগুলো আমাদের ইউনিটি বাড়াতে সাহায্য করবে।

৪. খেতে হবে প্রোটিন ও জিংক জাতীয় খাবার যেমন পর্যাপ্ত পরিমাণে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে।

৫. আরও খেতে হবে ফাইবার ও মিনারেল যুক্ত খাবার আপেল, বাদাম, সবজি-ফলমূল। ভিটামিন-ই যেমন ধনেপাতা, পুদিনাপাতা এগুলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার যা নানান ধরনের রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

এই সময়ে নিয়মিত শরীরচর্চা ও হাঁটাহাঁটি করুন যা আপনার বিপাক ক্রিয়া ও রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করবে এবং শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ করবে।

লেখক- পুষ্টিবিদ