কেন খাবেন ইসবগুলের ভুষি?

অনেকেই দীর্ঘদিন যাবত পেটের নানা ধরনের সমস্যা যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া বা অ্যাসিডিটিতে ভুগছেন। আপনার এইসব সমস্যার সমাধান করবে ইসবগুলের ভুষি।

GettyImages-1203579336_header-1024x575

কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে
ইসবগুলের ভুষির রয়েছে নানা ধরনের রোগ প্রতিরোধী গুণ। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গুণটি হলো এটি কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ প্রতিরোধে দারুণভাবে কাজ করে। এতে উপস্থিত অদ্রবণীয় ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য রোগীদের মল নরম করে দেয় ফলে খুব সহজেই ইলিমিনেশন সম্ভব হয়। আপনি যদি প্রতিদিন ঘুমানোর আগে ২ চা চামচ ইসবগুলের ভুষি ও ১ গ্লাস কুসুম গরম দুধ পান করেন তবে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য খুব সহজেই দূর হয়ে যাবে। আর হ্যাঁ, দীর্ঘদিন যাবত কেউ যদি এই রোগটি পুষে রাখেন তাহলে কোলন ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে
এই ভূষি খেলে আমাদের অন্ত্রে এক ধরনের স্তর তৈরি হয় যা কোলেস্টেরল শোষণে বাধা দান করে। ফলে আমাদের রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। তাই হৃদরোগীদের জন্য দারুণ একটি খাবার এটি।

ডায়রিয়া প্রতিরোধে
অনেকেই ডায়রিয়ায় ভুগে থাকেন মাঝেমধ্যেই। তাদের জন্য দারুণ একটি টনিক হলো ইসবগুলের ভুষি ও দই। এই দুটি একসাথে মিশিয়ে খেলে ডায়রিয়া থেকে মুক্তি পাবেন সহজেই।

ওজন কমাতে সাহায্য করে
এতে ফাইবার উপস্থিত থাকায় হজম প্রক্রিয়া অনেক ধীরগতিতে হয় তাই ক্ষুধা লাগে অনেক কম। এটি খেলে ওজন কমানো অনেক সহজ হয়ে যায়।

 ডায়াবেটিস প্রতিরোধে

ইসবগুলের ভূষিতে রয়েছে জিলাটিন নামক একটি উপাদান যা দেহে গ্লুকোজের শোষণ ও ভাঙার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে। ফলে রক্তে সহজে সুগারের পরিমাণ বাড়তে পারে না। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এই ভুষি খুবই উপযুক্ত।

অ্যাসিডিটি কমাতে
ভুষিতে উপস্থিত ফাইবার পাকস্থলীতে একটি স্তর তৈরি করে যা আমাদেরকে অ্যাসিডিটির হাত রক্ষা করে। এছাড়া হজম প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে এই ভুষি।

লেখক:
শিক্ষার্থী, ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।