কাঠবাদাম কীভাবে কতটুকু খাবেন?

একমুঠ (২৮ গ্রাম) কাঠবাদামে যা থাকে

ক্যালোরি ১৬১
ফাইবার ৩.৫ গ্রাম
প্রোটিন ৬ গ্রাম
কার্ব ২.৫ গ্রাম
ফ্যাট ১৪ গ্রাম
ভিটামিন-ই ৩৭%
ম্যাগনেসিয়াম ৩২%

কোলেস্টেরল কমায়
নিয়মিত কাঠবাদাম খাওয়ার একটি দারুণ ব্যাপার হলো, এগুলো আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করতে পারে। তাই উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য কাঠবাদাম উপকারী। গবেষণা বলছে, বাদাম শরীরের এলডিএল (ক্ষতিকর কোলেস্টেরল)- এর মাত্রা কমিয়ে দেয় এবং ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়ামের পরিমাণ বাড়ায়। এটি রক্তপ্রবাহকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। আর সুস্বাস্থ্যের জন্য রক্ত প্রবাহের বিকল্প নেই।

হাড় শক্তিশালী করে
সবজিভোজীরা এবার জবাব দিতে পারবেন তাদের সমালোচকদের। কারণ কাঠবাদাম আপনার ক্যালসিয়ামের অভাবও পূরণ করতে পারবে। তাই হাড় নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকলে নিয়মিত কাঠবাদাম খান।

অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার তালিকা থেকে বাদ পড়ে যাচ্ছে? কাঠবাদাম থাকলে আর টেনশন নেই।

ডায়াবেটিসে কাঠবাদাম
ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য খুব কম জাতের বাদাম আছে, যা উপকার করে। কাঠবাদাম সেই তালিকায় আছে। ডায়াবেটিকদের ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি কমাতে পারে এটি। অতিরিক্ত ক্ষুধাপ্রবণতা কমানোর পাশাপাশি এটি প্রোটিন ও ফাইবারেরও জোগান দেয়। তাই দুর্বলতাও কাটবে।

মানসিক চাপ কমায় কাঠবাদাম
কাঠবাদামে আছে সেলেনিয়াম। এই খনিজটি সরাসরি বিষণ্নতা, মানসিক চাপ ও অবসাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে। মেজাজমর্জিও ঠিক রাখে এটি।

একদিনে কতটা খাবেন?
অনেকেই বলবে, আপনি আপনার সুবিধামতো কাঠবাদাম খেতে পারবেন। তবে গবেষণায় দেখা যায়, খুব বেশি কাঠবাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

ডায়েট বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনে ৮-১০টি বা বড়জোর একমুঠ পরিমাণ কাঠবাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যকর।

মনে রাখতে হবে, একসঙ্গে অনেকগুলো বাদাম খাওয়ার খারাপ প্রভাব পড়তে পারে শরীরে। বাদাম কেবল তুলনামূলকভাবে ফ্যাটই তৈরি করে না, এর অত্যধিক গ্রহণে শ্বাসকষ্ট, বিষক্রিয়া এবং হজমেও সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ভিজিয়ে খাবেন
কাঠবাদাম সারারাত ভিজিয়ে রেখে খাওয়াই উত্তম। এতে এর ভেতরকার যাবতীয় খনিজ উপাদান সহজে শরীর গ্রহণ করতে পারে।