শিশুকে খাবারগুলো দেওয়ার আগে সাবধান!

তিন বছরের শিশুটি বায়না ধরেছে ক্যান্ডি খাবে। আদুরে আহ্বানে বিগলিত মনে আপনিও তার হাতে তুলে দিলেন ঢাউস সাইজের একখানা লজেন্স। খানিক পরেই দেখলেন শিশুটি চোখ বড় বড় করে একরাশ আতঙ্ক নিয়ে তাকিয়ে আছে। কাউকে কিছু বলতেও পারছে না সে। বোঝাবে কী করে! ক্যান্ডিটা একবারে গিলতে গিয়ে বেধে গেছে গলায়! আপনার চোখে সামনে থাকলে সঙ্গে সঙ্গে শিশুটিকে উবু করে পেটে দু'হাত রেখে শক্ত করে চাপ দিতেই হয়তো গলা থেকে বেরিয়ে আসবে ক্যান্ডি। ফের দম নেবে ও। আর যদি তার আগেই আপনি চলে যান আড়ালে?

সুতরাং বুঝতেই পারছেন, সাবধানতার তালিকায় প্রথম খাবারটি হলো ক্যান্ডি বা এ জাতীয় গোলগাল শক্ত খাবার, যেগুলো সরাসরি গিলে ফেললে গলায় আটকে যাওয়ার দারুণ আশঙ্কা থাকে।

এ তালিকায় আরেক নীরব ঝুঁকির নাম ডিমের কুসুম। ছোট শিশুকে ডিমের আস্ত কুসুম খেতে দেওয়ার আগে সেটাকে মাঝ বরাবর ভেঙে বা কেটে দেওয়াই উত্তম। চেরি ও বড় আকারের আঙুরের বেলাতেও সাবধান থাকুন।

কাঁচা দুগ্ধজাত পণ্য
গ্রামের দিকে একটা প্রবণতা দেখা যায়, অনেক শিশুই গরুর দুধ দোহানোর পর সরাসরি তা পান করে ফেলে। পাস্তুরিত না করা দুধ খেলে দেখা দিতে পারে মারাত্মক বদহজম। আবার পনির বা ছানার মতো কিছু দুগ্ধজাত পণ্যের সঙ্গেও শিশুদের হজমশক্তির সমঝোতা হয় না। সেগুলোও এড়িয়ে চলতে পারলে ভালো।

চিউয়িং গাম
পছন্দের তালিকায় যতই উপরে থাকুক, চিউয়িং গাম নিয়ে কিন্তু ঢের বিপদের আশঙ্কা। গোলেমেলে একবার গিলে ফেললেই বিগড়ে যাবে পাকস্থলীর মেজাজ। গলায় আটকে তো যেতেই পারে, আবার ডেকে আনতে পারে মারাত্মক কোষ্ঠকাঠিন্যও।

বাদাম কিংবা বাদামের বাটার
৫ বছরের নিচে অনেক শিশুরই বাদামে অ্যালার্জি থাকে। তাই আহ্লাদে আটখানা হয়ে আস্ত পিনাট বাটারের বয়াম তাদের হাতে তুলে দেবেন না। বাদামের বার জাতীয় যে স্ন্যাক্সটা দেখা যায়, সেটাও একটু একটু করে খেতে দিন।

ফিজি পানীয়
সোডা জাতীয় বা কার্বোনেটেড পানীয় সবার জন্যই ক্ষতির কারণ। তবে শিশুদের কোমল দাঁতের বারোটা বাজাতে এসব পানীয়ের জুড়ি নেই। তালিকায় আছে নানা ধরনের লাচ্ছি, স্মুদি ইত্যাদি।

চিনি বা লবণ
শিশুদের খাবারে চিনি না রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। কারণ তাদের শরীরে এর চাহিদা তৈরি হয় না সহসা। আবার লবণটাও দিতে হবে কম। তা না হলে সরাসরি ঝুঁকিতে পড়ে যাবে আপনার সোনামণির কিডনি।

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া