অসুস্থ শিশুকে কি টিকা দেওয়া যাবে?

শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় তারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয় দ্রুত। টিকা শিশুদের রোগে আক্রান্ত হওয়া থেকে রক্ষা করে। বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৯ সাল থেকে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) মাধ্যমে প্রথমে ৬টি, পরে পর্যায়ক্রমে ১০টি রোগ হতে রক্ষা করার জন্য ১ বছরের কম বয়সী সকল শিশুদের টিকা দিয়ে আসছে।

ইপিআই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হচ্ছে সংক্রামক রোগ থেকে শিশুদের অকাল মৃত্যু ও পঙ্গুত্ব রোধ করা। সঠিক সময়ে ও নিয়মে নবজাতকের টিকা দেওয়া নিয়ে মা বাবারা অনেক দুশ্চিন্তা বা বিভ্রান্তিতে ভোগেন। অসুস্থ অবস্থায় শিশুকে টিকা দেওয়া ঠিক হবে কিনা, আসুন জেনে নেওয়া যাক।

ইপিআই এর নির্দেশনা অনুযায়ী শিশুর জন্মের ১ বছরের মধ্যে আবশ্যক টিকাগুলোর সম্পূর্ণ ডোজ শেষ করতে হবে। সামান্য জ্বর , ঠান্ডা, বমি, মৃদু ডায়রিয়া ইত্যাদি অসুস্থতা যেগুলোতে বর্তমানে কোনও ওষুধের সেবন করছে না; এমন অবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী টিকা নিতে পারবে। কিন্তু মারাত্মক অসুস্থ শিশু, খিঁচুনি হচ্ছে এমন শিশু কিংবা অ্যান্টি-ভাইরাল কোনও ওষুধ সেবনরত এমন শিশুকে সুস্থ হয়ে তারপর প্রাপ্যতা অনুযায়ী টিকার ডোজ সম্পন্ন করার জন্য বলা হয়ে থাকে।

এছাড়া কোনও টিকায় যদি পূর্বে কোনও সমস্যা যেমন পেনটা টিকার পারটুসিস উপাদানের কারণে খিঁচুনি হয় কিংবা কোনও অ্যালার্জিজাতীয় প্রতিক্রিয়া হয়ে থাকে, তাহলে পরবর্তী টিকার ডোজ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিতে হবে। যেমন প্রথম ডোজ পেনটায় খিঁচুনি হলে পরবর্তী টিকা পেনটার পরিবর্তে টি ডি/ টিটি দেওয়া হয়ে থাকে। পোলিও টিকা মুখে খেতে হয় বলে ওই সময়ে ডায়রিয়া থাকলে শিডিউলের ডোজ খাওয়ানোর পরও আবার ২৮ দিন পর আরেকটি অতিরিক্ত ডোজ খাওয়ানো হয়। দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাদের যেমন কেমোথেরাপি চলছে বা জন্মগত হৃদরোগ কিংবা শরীরের কোনও অঙ্গ পরিবর্তনের পর নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ সেবন করছে, তাদের ক্ষেত্রে টিকা গ্রহণের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার জন্য বলা রয়েছে।