হয়ে যাক স্বাস্থ্যকর ছোলা ভুনা

মজাদার ছোলা ভুনা

বিকেলের নাস্তায় চপ, কাটলেট, কাবাব, পেঁয়াজু, ডালপুরি ইত্যাদি তেলেভাজা ‘শাহী’ খাবারেই আমরা বাঙ্গালীরা অভ্যস্ত। এগুলি খেতে ভাল হলেও, স্বাস্থ্যের জন্য খুব একটা ইতিবাচক নয়। একে তো মশলাদার, তার উপর তেল চপচপে।

একটু খানি ঝাল ঝাল, একটু খানি তেলে গড়ানো কিন্তু অ-নে-ক খানি স্বাস্থ্যকর একটি স্ন্যাকিং-এর রেসিপি দেব আজ। সেই চির পরিচিত “ছোলা/বুট” ভুনা। আটপৌরে কিন্তু ফ্লেভারে ভরা! মিনিমাম মশলা কিন্তু স্বাদের বিন্দু মাত্র কমতি নেই! ছোলায় আছে প্রোটিন, ডায়েটারি ফাইবার, ফোলেট, আয়রন, থিয়ামিন, ভিটামিন বি৬। সহজপাচ্য। নিরাপদ।

ছোলা ভুনায় চাই টাটকা কাচামরিচ

উপকরণ:

এক পোয়া ছোলা বা বুট। আগের রাতে পানিতে ভিজিয়ে রাখা

একটি মাঝারী সাইজ পেঁয়াজ। কুঁচিয়ে কাটা

এক চিমটি হলুদ

দুই টেবিল চামচ অলিভ অয়েল বা সয়াবিন তেল

লবন, গোল মরিচের গুঁড়ো ও লেবুর রস স্বাদ মত

এক মুঠো ধনিয়া পাতা বা আপনার পছন্দের হার্ব

দুইটি কাঁচা মরিচ

প্রণালী:

কড়াইয়ে তেল গরম করে পেঁয়াজ দিন। মাঝারি তাপে পাঁচ মিনিট পেঁয়াজ ভাজুন। নরম হয়ে এলে এতে ছেড়ে দিন সেদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে রাখা ছোলা। হলুদ, লবন, গোল মরিচ দিন। মিনিট পাঁচেক নাড়াচাড়া করে ভাজুন। লেবুর রস দিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে নিন।

গরম গরম ছোলা ভুনা মুড়ির সাথে বা সালাদের সাথে পরিবেশন করুন। অবশ্যই ধনিয়া পাতা এবং কাঁচা মরিচ কুচিয়ে ছোলায় মিশিয়ে দিন। নইলে স্বাদ খুব একটা খোলতাই হবে না। 

নোটঃ আপনি চাইলে এতে ছোট কিউব করে কাটা আলু সেদ্ধ, টমেটো কিউব, আদা, রসুন বাটা ইত্যাদি দিয়ে বেশ একটা ‘মাখা মাখা’ চেহারা এবং স্বাদ আনতে পারেন। তবে এই শুকনো, ঝরঝরে ভুনাটিও আপনার দারুন পছন্দ হবে।

একটি কথা অবশ্যই মাথায় রাখবেন যে খাবারের রং বদলানো চলবে না। উজ্জ্বল রংয়ের খাবার চাই সবসময়।

/এফএএন/