নতুন বছরে এই ৫ ডায়েট নয়!

করোনা মহামারি সুস্বাস্থ্য ধরে রাখা ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের গুরুত্ব হাড়ে হাড়ে বুঝিয়ে দিয়েছে আমাদের। বেশ সংকটময় একটি বছর শেষে নতুন আরেকটি বছর দোরগোড়ায়। নতুন বছরের সংকল্প তৈরির সময় শরীরচর্চা বা ডায়েটকে গুরুত্ব দেন অনেকে। তবে ফিট থাকতে ইন্টারনেট দেখে ডায়েট চার্ট বানিয়ে ফেলবেন না। এতে বরং শরীরের আরও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাড়াহুড়ো না করে সময় নিয়ে ওজন কমানো জরুরি- নতুন বছরের সংকল্প হোক এমন।

 

না খেয়ে থাকবেন না
ওজন কমানোর জন্য না খেয়ে থাকবেন না। এতে শরীরের মেটাবলিজম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বরং নির্দিষ্ট সময় পর পর স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে শরীর যেমন ভালো থাকে, তেমনি ওজনও থাকে নিয়ন্ত্রণে। না থেকে থাকার কারণে বা অনেকক্ষণ পর ক্ষুধা পেটে ভারি খাবার খেলে বরং ওজন আরও দ্রুত বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

অ্যাসিডিটি হয় এমন ডায়েট করবেন না  
প্রোটিন খেতে গিয়ে প্রতিদিনের মেন্যুতে অতিরিক্ত মাংস, মাছ বা ডিম রাখবেন না। এতে উল্টো অ্যাসিডিটি বাড়তে পারে। অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকলেও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। ডায়েট চার্টে প্রচুর পরমাণে মৌসুমি সবজি ও ফল রাখুন।

রক্তে শর্করা কমে যায় এমন ডায়েট নয়
পুষ্টিবিদরা কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার কম খাওয়ার কথা বলেন। কম চিনি যুক্ত খাবার খেলে শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে, সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। তবে যাদের রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি নয়, তাদের কিন্তু এই ডায়েট না মেনে চলাই ভালো। এতে শরীর অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

শুধু তরল খাবেন না
শুধু তরল খাবার খেলে ওজন দ্রুত কমে যাবে এই ধারণা ভুল। বরং এতে পুষ্টির ঘাটতিতে পড়ে দুর্বল হয়ে যাবেন।

কার্বোহাইড্রেট পুরোপুরি বাদ দেবেন না
অনেকে তাড়াতাড়ি মেদ ঝরাতে কার্বোহাইড্রেট একেবারেই বাদ দিয়ে দেন মেন্যু থেকে। এটি করবেন না। এতে ত্বক ও চুল নষ্ট হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে শরীরেও।

পরিমিত পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মাধ্যমে ধীরে ধীরে কমান ওজন। এতে সুস্থ থাকবেন দীর্ঘদিন।

তথ্য: টাইমস অব ইন্ডিয়া